ভূমিকম্প বিধ্বস্ত তুরস্কে ত্রাণের জন্য হাহাকার

ভূমিকম্পের তিনদিন পরও ত্রাণবন্টন ঘিরে চূড়ান্ত অব্যবস্থা তুরস্কে। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে কাড়াকাড়ি ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে বহু জায়গাতেই।

Updated By: Oct 25, 2011, 09:08 PM IST

ভূমিকম্পের তিনদিন পরও ত্রাণবন্টন ঘিরে চূড়ান্ত অব্যবস্থা তুরস্কে। ত্রাণসামগ্রী নিয়ে কাড়াকাড়ি ও লুঠপাটের ঘটনা ঘটেছে বহু জায়গাতেই। সমালোচনার মুখে পড়েছে তুরস্কের ত্রাণ সংস্থা রেড ক্রেসেন্ট। ছেচল্লিশ ঘন্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা থাকার পর একটি চোদ্দদিনের শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধারকাজ জারি থাকলেও জীবিত কারো উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে। ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা বেড়ে তিনশো ছেষট্টি হয়েছে।
বয়স চোদ্দদিন। ছেচল্লিশ ঘন্টা ধ্বংসস্তুপের নিচে আটক ছিল চোদ্দদিনের শিশুটি। ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এরকিসে এই শিশুটি ধ্বংসস্তুপ থেকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। ধ্বংসপূরীর মাঝে এই শিশুটি জীবিত উদ্ধারের ঘটনায় নতুন করে আশায় বুক বাঁধছেন বিপর্যস্ত বাসিন্দারা।
কিন্তু উদ্ধারকাজ জারি থাকলেও, সময় যত যাচ্ছে, জীবিত কাউকে উদ্ধারের সম্ভাবনা ক্ষীণ হচ্ছে। ইতিমধ্যেই ভুমিকম্পে মৃতের সংখ্যা আরও বেড়েছে। অসংখ্য মানুষ নিখোঁজ, ফলে মৃতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে তুরস্কে এখন সবচেয়ে বড় সমস্যা বিপন্ন মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছে দেওয়া। অভিযোগ, চূড়ান্ত অব্যবস্থার শিকার ত্রাণবন্টন ব্যবস্থা। বাড়িঘর হারিয়ে বহু মানুষ  তীব্র ঠাণ্ডায় খোলা আকাশের নিচে রাত কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন। অস্থায়ী শিবিরের বাসিন্দা এক মহিলা অভিযোগ করেন, এখানে কম্বল নেই, হিটার নেই, ঠাণ্ডায় জমে যাওয়ার অবস্থা। চারদিক অসম্ভব নোংরা। একটা শৌচাগার নেই।
 কোথাও ত্রাণসামগ্রী নিতে কাড়াকাড়ির অভিযোগ, কোথাও লুঠপাটের অভিযোগ। যারা ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হননি তারাও ত্রাণের জিনিস নিয়ে যাচ্ছেন বলে ক্ষোভ জানিয়েছেন বিপন্ন মানুষ। এরকিসে ত্রাণবন্টন ঘিরে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ায় পুলিসকে হস্তক্ষেপ করতে হয়। তুমুল অরাজকতার কারণেই বেশ কয়েকটি এলাকায় ত্রাণবন্টন না করেই ফিরে আসেন কর্মীরা। কোনও ব্যবস্থাই নেই। লোকেও তাঁবুও চুরি করছে। আর আমরা অপেক্ষা করেই যাচ্ছি, দীর্ঘক্ষণ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকার পর অভিযোগ করেন এরকিসের এক বাসিন্দা।  এই অব্যবস্থার জেরেই প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছে তুরস্কের ত্রাণ সংস্থা রেড ক্রেসেন্ট। রবিবারে বিধ্বংসী ভূমিকম্পের জেরে বিভিন্ন দেশ থেকে তুরস্ক সরকারকে ত্রাণ পাঠানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এখনও পর্যন্ত ইরান, বুলগেরিয়া ও আজারবাইজান থেকে ত্রাণ গ্রহণ করেছে তুরস্ক সরকার।

.