অ্যাসাঞ্জের পাশে ইকুয়েডর
ব্রিটেনের কূটনৈতিক হুমকি উপেক্ষা করেই উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ইকুয়েডর। অ্যাসাঞ্জকে ইংল্যান্ড বা সুইডেনের হাতে প্রত্যার্পণ করা হলে তাঁর নিরাপত্তা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হওয়ার আশঙ্কা থাকাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন ইকুয়েডরের বিদেশমন্ত্রী। ইকুয়েডরের রাজনৈতিক আশ্রয়ের ঘোষণা করলেও অ্যাসাঞ্জের প্রত্যার্পণের প্রশ্নে অনড় ব্রিটিশ সরকার।
ব্রিটেনের কূটনৈতিক হুমকি উপেক্ষা করেই উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল ইকুয়েডর। অ্যাসাঞ্জকে ইংল্যান্ড বা সুইডেনের হাতে প্রত্যার্পণ করা হলে তাঁর নিরাপত্তা ও মানবাধিকার লঙ্ঘন হওয়ার আশঙ্কা থাকাতেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন ইকুয়েডরের বিদেশমন্ত্রী। ইকুয়েডরের রাজনৈতিক আশ্রয়ের ঘোষণা করলেও অ্যাসাঞ্জের প্রত্যার্পণের প্রশ্নে অনড় ব্রিটিশ সরকার।
জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জকে ঘিরে কূটনৈতিক লড়়াই ক্রমশ জটিল হচ্ছে। অ্যাসাঞ্জকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিলে ইকুয়েডরের কূটনৈতিক মর্যাদা কেড়ে নেওয়ার হুমকি দিয়েছিল গ্রেট ব্রিটেন। শেষপর্যন্ত সেই হুমকি উপেক্ষার রাস্তাতেই হাঁটল ইকুয়েডর। বৃহস্পতিবার রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুরের ঘোষণা করলেন ইকুয়েডরের বিদেশমন্ত্রী রিকার্ডো পাতিনো। তিনি বলেন, "বরাবরের মতোই বিপন্ন মানুষকে সাহায্য করতে জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জের রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন মঞ্জুর করেছে ইকুয়েডরের প্রেসিডেন্ট। আমরা আশাবাদী ব্রিটিশ সরকারও তাদের রীতি মেনে অ্যাসাঞ্জকে দেশ থেকে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে নিরাপত্তা দেবে"।
বর্তমানে লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়ে রয়েছেন অ্যাসাঞ্জ। ইকুয়েডর গ্রেট ব্রিটেনের তরফ থেকে সেফ প্যাসেজের আশা করলেও অ্যাসাঞ্জ ইস্যুতে সরাসরি কূটনৈতিক সংঘাতের ইঙ্গিত মিলেছে ব্রিটিশ বিদেশ সচিব উইলিয়াম হেগের কথায়। তিনি বলেন,অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনের হাতে তুলে দিতে আমরা দায়বদ্ধ। ইকুয়েডরের ঘোষণায় আমাদের সেই সিদ্ধান্তের কোনও নড়চড় হওয়ার প্রশ্ন নেই। তবে আমাদের এই সিদ্ধান্ত উইকিলিকস বা অ্যাসাঞ্জের প্রতি আমেরিকার মনোভাবের জন্য নয়। বরং আমরা অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনে পাঠাতে চাই সেখানে তাঁর বিরুদ্ধে থাকা গুরুতর অভিযোগের বিচারের জন্য।
২০১০ থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ এবং তার সহযোগী বিভিন্ন দেশের সরকারের কয়েক লাখ গোপন নথি ফাঁস করে দুনিয়াজুড়ে ঝড় তোলে অ্যাসাঞ্জের উইকিলিকস। দুই সুইডিশ নারীকে যৌন নিপীড়নের মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য গত জুনে অ্যাসাঞ্জকে সুইডেনের কাছে হস্তান্তরের রায় দেয় যুক্তরাজ্যের আদালত। এরপরই লন্ডনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে আশ্রয় নিয়েছিলেন অ্যাসাঞ্জ। তাঁকে পেতে প্রয়োজনে ইকুয়েডরের দূতাবাসে অভিযান চালানোরও হুমকি দেয় ব্রিটেন সরকার। সেই সব হুমকি উপেক্ষা করে ইকুয়েডরের পদক্ষেপ ব্রিটেনের সঙ্গে লাতিন আমেরিকার দেশটির সম্পর্কের সেই জটিলতা নিঃসন্দেহে আরও বাড়িয়ে দিল বলে কুটনৈতিক মহলের ধারণা।