বিতর্কিত মার্কিন ছবির প্রতিবাদে উত্তেজনা ছড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশে

মিশর, লিবিয়া, ইয়েমেন। আরব বসন্তের রেশ কাটতে না কাটতেই বিতর্কিত মার্কিন ছবির প্রতিবাদে ফের অশান্ত হয়ে উঠছে মধ্য প্রাচ্যের বেশ ক`টি দেশ। আজ প্রতিবাদে ইয়েমেনের রাজধানী সানার মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালাল বিক্ষোভকারীরা। অন্যদিকে, মিশরের রাজধানী কায়রোতে তৃতীয় দিনে পড়ল ছবিটির প্রবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন।

Updated By: Sep 13, 2012, 05:46 PM IST

আরব বসন্তের রেশ কাটতে না কাটতেই বিতর্কিত মার্কিন ছবির প্রতিবাদে ফের অশান্ত হয়ে উঠছে মধ্য প্রাচ্যের বেশ ক'টি দেশ। শুরুটা হয়েছিল মিশরের কায়রো থেকে। আক্রান্ত হয় মার্কিন দূতাবাস। তারপর লিবিয়া। মার্কিন দূতাবাসে হামলায় রাষ্ট্রদূত সহ চারজনের মৃত্যু হয়। বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। কিন্তু তাতে বিক্ষোভ থামেনি। বরং আরও গনগনে হয়েছে বিক্ষোভের আঁচ।
বিতর্কিত মার্কিন ছবি তৈরির প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার ইয়েমেনের রাজধানী সানার মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় বিক্ষোভকারীরা। দূতাবাসের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা একের পর এক গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। উত্তেজিত বিক্ষোভকারীদের বাগে আনতে গুলি চালায় পুলিস। কিন্তু সেই প্রচেষ্টা সফল হয়নি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শেষে জলকামানের আশ্রয় নেয়।
অন্যদিকে, মিশরের রাজধানী কায়রোতে তৃতীয় দিনে পড়ল ছবিটির প্রতিবাদে বিক্ষোভ প্রদর্শন। মার্কিন দূতাবাসের বাইরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয় পুলিস এবং বিক্ষোভকারীরা। ইট-পাথর-বোতল ছুঁড়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। ঘটনায় দুপক্ষেরই একাধিক ব্যক্তি আহত হন। আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয় দূতাবাসের একাধিক গাড়িতেও। এই প্রথম নয়। আগেও মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানোর চেষ্টা করেছিল বিক্ষোভকারীরা। দূতাবাসের পাঁচিল ভেঙে পতাকা ছিঁড়ে ফেলে তারা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য মিশরের সহযোগিতা চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মিশরে শান্তি বজায় রাখার আর্জি জানিয়েছেন সেদেশের প্রেসিডেন্ট মহম্মদ মুর্সি। যেকোনও মূল্যে বিক্ষোভ দমন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
প্রতিবাদ ছড়িয়ে পড়ে ইরাকের একাধিক শহরেও। বাগদাদে বিশাল মিছিল বের করে বিক্ষোভকারীরা। বিক্ষোভ চলে বসরাতেও। মিছিল থেকে মার্কিন বিরোধী স্লোগান দেওয়া হয়। পোড়ানো হয় মার্কিন পতাকা।
বিক্ষোভের আঁচ পৌঁছছে বাংলাদেশেও। ছবির প্রতিবাদে স্লোগান দিতে দিতে ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের দিকে মিছিল করে যায় বিক্ষোভকারীরা। মার্কিন পতাকায় আগুন লাগানো হয়। ছবি নির্মাতার গ্রেফতারির দাবি জানায় বিক্ষোভকারীরা। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে নিরাপত্তাবলয়ে মুড়ে ফেলা হয় বাংলাদেশ।
এর আগে বুধবারই বিক্ষোভ ছড়ায় তিউনিশিয়ায়। পতাকা পুড়িয়ে মার্কিন বিরোধী স্লোগানে মুখর হয় তিউনিশের পথঘাট।
এক দেশ থেকে আর এক দেশে দ্রুত বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ার ঘটনায় বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ ছড়িয়েছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়ছেন সাধারণ মানুষ।

.