আফ্রিকা থেকে ইতালিতে এসেও স্বস্তি মিলল না
গৃহযুদ্ধ আর দারিদ্র। আফ্রিকা মহাদেশের দুই দীর্ঘ মেয়াদি যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আশ্রয় নিয়েছিলেন ইতালিতে। কিন্তু সেখানেও বিপর্যয় পিছু ছাড়ল না আবদুল্লাদের। ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড এলাকা। শরণার্থী হয়েও তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়লেন উদ্ধারকাজে। অস্থায়ী শিবিরে জায়গা করে দিলেন ভূমিকম্পে সর্বহারা ভূমিপুত্রদের।
ওয়েব ডেস্ক: গৃহযুদ্ধ আর দারিদ্র। আফ্রিকা মহাদেশের দুই দীর্ঘ মেয়াদি যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পেতে আশ্রয় নিয়েছিলেন ইতালিতে। কিন্তু সেখানেও বিপর্যয় পিছু ছাড়ল না আবদুল্লাদের। ভূমিকম্পে লণ্ডভণ্ড এলাকা। শরণার্থী হয়েও তাঁরা ঝাঁপিয়ে পড়লেন উদ্ধারকাজে। অস্থায়ী শিবিরে জায়গা করে দিলেন ভূমিকম্পে সর্বহারা ভূমিপুত্রদের।
চব্বিশে অগাস্টের বিধ্বংসী ভূমিকম্প। কেঁপে উঠেছিল মধ্য ইতালির বিস্তীর্ণ এলাকা। সব চেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছিল পেসকারা ডেল ট্রনটো শহরের। ধ্বংসস্তুপ সরিয়ে এখন সেখানে চলছে উদ্ধারকাজ। স্থানীয় পুলিস, দমকল এবং উদ্ধারকর্মীদের পাশাপাশি সেই কাজে হাত লাগিয়েছেন ইতালিতে আশ্রয় নেওয়া শরণার্থীরাও। পরিচয় না থাকলেও, চরম দুঃসময়ে তাঁরাই হয়ে উঠেছেন সর্বহারা ভূমিপুত্রদের বড় কাছের মানুষ।
আরও পড়ুন- সাম্বার জনপ্রিয়তায় থাবা বসিয়েছে জাপান
বেনিনের বাসিন্দা আবদুল্লা জানালেন, " আমরা মানুষকে মরতে দেখেছি। চিনি না। তাও খারাপ লেগেছে। দুঃখ পেয়েছি। চেষ্টা করেছি সাহায্য করতে"। আবদুল্লা এসেছেন সুদূর বেনিন থেকে। সঙ্গীদের কেউ এসেছেন সুদূর সাহারা মরুভূমি পেরিয়া তো কেউ সুদান থেকে। সকলেরই স্বপ্ন ছিল নতুন করে বাঁচার। কিন্তু ইতালির ভূমিকম্প তাঁদের সেই স্বপ্ন ভেঙে চুরমার করে দিয়েছে। অথচ ভূমিকম্প কী জিনিস, তাঁরা অনেকেই জানতেন না। সেই আবদুল্লারাই এখন সেচ্ছাসেবক। অস্থায়ী তাঁবু তৈরির জন্য সরাচ্ছেন ধ্বংসস্তুপ, সাহায্য করছেন হেলিপ্যাড নির্মাণে। আবার নিহতদের পরিবারকে দিচ্ছেন সান্ত্বনা।
আরও পড়ুন- পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বোমা ফাটালেন বালোচ নেতা ব্রাহুমডাগ বুগতি
শরণার্থীর তকমা নিয়ে ইতালিতে এসেছিলেন আবদুল্লারা। এখন তাঁরাই হয়ে উঠেছেন ভূমিকম্পে স্বজন হারানো অজানা-অচেনা ভূমিপুত্রদের বড় কাছের মানুষ।