আমেরিকায় ধর্মস্থানে গুলি, মৃত ৭

আমেরিকায় উইসকনসিনে একটি ধর্মস্থানে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর ঘটনায় কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ পূণ্যার্থীদের আটক করেও রাখা হয় ধর্মস্থানের ভেতরে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি আততায়ীর। পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তারও। ঘটনাকে অভ্যন্তরীণ হামলা হিসেবেই দেখছে পুলিস।

Updated By: Aug 6, 2012, 02:24 PM IST

আমেরিকায় উইসকনসিনে একটি ধর্মস্থানে ঢুকে এলোপাথাড়ি গুলি চালানোর ঘটনায় কমপক্ষে ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। দীর্ঘক্ষণ পূণ্যার্থীদের আটক করেও রাখা হয় ধর্মস্থানের ভেতরে। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি আততায়ীর। পুলিসের গুলিতে মৃত্যু হয়েছে তারও। ঘটনাকে অভ্যন্তরীণ হামলা হিসেবেই দেখছে পুলিস। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে এফবিআই। এ ঘটনায় জল্পনা শুরু হয়েছে আন্তর্জাতিক মহলে। ধর্মস্থানে গুলি চালানোর ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা। আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত মারফত নিহতদের পরিবারকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
ওক ক্রিক অঞ্চলের এই ধর্মস্থানে রবিবার সকালে  প্রার্থনা চলছিল। আচমকাই সেখানে হানা দেয় এক বন্দুকবাজ। এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করলে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। অনেকেই গুলিতে আহত হন। ধর্মস্থানে দীর্ঘক্ষণ ধরে তাণ্ডব চালাতে থাকে এই হামলাকারী। উপস্থিত বেশ কয়েকজনকেব সে আটকে রাখে ভিতরেই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হয় বিশাল পুলিসবাহিনী। ধর্মস্থান ঘিরে ফেলে তারা। এক সময় এক পুলিসকর্মীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বন্দুকবাজ। বেশ কয়েকটি গুলি লাগে ওই পুলিসকর্মীর। তবে আহত হলেও বন্দুকবাজকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়েন ওই পুলিসকর্মী। মাটিতে লুটি পড়ে ওই হামলাকারীর মৃত্যু হয়।
 
ধর্মস্থানের ভিতর থেকে চারটি দেহ এবং বাইরে থেকে দুটি দেহ উদ্ধার করেছে পুলিস। উদ্ধার হয়েছে দুটি সেমি অটোমেটিক হ্যান্ড গান। স্থানীয় হাসপাতালে আহতদের ভর্তি করা হয়। এই ঘটনা নিয়ে ইতিমধ্যেই আন্তর্জাতিক মহলে জল্পনা শুরু হয়েছে। সেখানকার পুলিস ঘটনাকে প্রাথমিকভাবে জঙ্গি হামলার মত অভ্যন্তরীণ হামলা হিসেবেই দেখছে। ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে রয়েছেন এফবিআইয়ের গোয়েন্দারা। ইতিমধ্যেই হামলার সময় উপস্থিত বেশ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন গোয়েন্দারা।
 
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ঘটনায় দুঃপ্রকাশ করেছেন। তদন্তে সব রকম সহযোগিতা করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পর বিদেশমন্ত্রী এস এম কৃষ্ণা ফোন করেন আমেরিকায় নিযুক্ত ভারতীয় রাষ্ট্রদূত নিরূপমা রাওকে। এই ঘটনায় আমেরিকার সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কিছুদিন আগেই  কলোরাডো থিয়েটারে বন্দুকবাজের হামলায় মৃত্যু হয় বারোজনের। এরপরেও যে নিরাপত্তা জোরদার হয়নি, রবিবারের ঘটনায় তা অনেকটাই স্পষ্ট।
 

.