কেনিয়ার মুখোশধারী বন্দুকবাজের হামলায় মৃত ১৫, আহত অন্তত ৪০
সোমালিয়া সীমান্তে কেনিয়ার একটি শহরের কলজে মুখোশধারী বন্দুকবাজদের তাণ্ডবে প্রাণ হারালেন অন্তত ১৪। গুরুতর আহত ৪০জন। আজ কলেজের মধ্যে যখন পড়ুয়ারা আতঙ্কের প্রহর গুনছেন তখন বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে বন্দুকবাজদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলির লড়াই চলে।
ওয়েব ডেস্ক: সোমালিয়া সীমান্তে কেনিয়ার একটি শহরের কলেজে মুখোশধারী বন্দুকবাজদের তাণ্ডবে প্রাণ হারালেন অন্তত ১৫। গুরুতর আহত ৪০জন। আজ কলেজের মধ্যে যখন পড়ুয়ারা আতঙ্কের প্রহর গুনছেন তখন বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে বন্দুকবাজদের সঙ্গে নিরাপত্তারক্ষীদের গুলির লড়াই চলে।
বন্দুকবাজদের হামলার খবর শুনেই গারিসা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ চত্ত্বর ঘিরে ফেলে পুলিস ও সেনা বাহিনী। কেনিয়ার ইন্সপেক্টর জেনেরাল জোসেফ বোনিয়েট জানিয়েছেন ''বিশ্ববিদ্যালয় চত্ত্বরে হঠাৎই এলোপাথাড়ি গুলি চালাতে শুরু করে মুখোশধারী বন্দুকবাজরা।'' রয়টার্স সূত্রে খবর বন্দুকবাজরা সম্ভবত কয়েকজন ক্রিশ্চানকে পণবন্দী করেও রেখেছে।
আহতরা বেশিরভাগই গুলি বিদ্ধ। চার জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক।
কেনিয়ার জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা সেন্টারের পক্ষ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে ''এখনও পর্যন্ত ৪৯ জন গুলি বিদ্ধ হয়েছেন। তার মধ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ৪ জন।''
এখনও পর্যন্ত এই আক্রমণের দায়ভার কোনও জঙ্গি গোষ্ঠী নেয়নি।
কিছুদিন আগেও আল কায়েদা ঘনিষ্ঠ সোমালিয়ার ইসলামিক জঙ্গি গোষ্ঠী আল শাবাব গারিসা সহ কেনিয়ার একাধিক স্থানে এই ধরণের লাগাতার হামলা চালিয়েছে।
গারিসা টিচার্স ট্রেনিং কলেজের এক পড়ুয়া জানিয়েছেন এই ধরণের হামলা হতেই পারে সে বিষয়ে আগে থেই সতর্কতা জারি করা হয়েছিল।
তিনি জানিয়েছেন '' কদিন ধরেই সন্দেহভাজন কজন শহরে ঘোরাফেরা করছিল। অনেকেই বুঝতে পারছিলেন এরা আসলে জঙ্গি। সোমবার আমাদের প্রিন্সিপাল হঠাৎ এসে জানান এই সন্দেহভাজনদের কলেজ চত্বরে দেখা গেছে। মঙ্গলবার ছুটির পর আমরা বাড়ি ফিরে যাই। কলেজ বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু কলেজ ক্যাম্পাস খোলাই ছিল। আশঙ্কা প্রমাণ করে সেই ক্যাম্পাসেই এবার হামলা হল।''
নাইরোবিতে ২০১৩ সালে ভয়াবহ জঙ্গি হামলার পিছনে আল শাবাবের প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল। সেই সময়ে জঙ্গি দমনে কেনিয়া সোমালিয়াতে সেনা পাঠিয়েছিল। আল শাবাবের দাবি ছিল মলের মধ্যে এই হামলা কেনিয়ার প্রতি তাদের প্রতিশোধের একটা ছোট্ট নমুনা মাত্র ছিল।