আগাম ১৫ লাখ কবর খুঁড়ে রাখা হচ্ছে এই দেশে, পরিস্থিতি আরও ভয়ংকর হওয়ার আশঙ্কা
সেখানকার প্রশাসনের এমন উদ্যোগে ইতিমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে।
নিজস্ব প্রতিবেদন- কবে বিদায় নেবে করোনাভাইরাস! কবে পৃথিবী আবার আগের মতো স্বাভাবিক হয়ে উঠবে! এসব প্রশ্নের উত্তর এখন হয়তো কারোর কাছেই নেই। ভ্যাকসিন আবিষ্কারের আশা এখনো পর্যন্ত কোন দেশ দেখাতে পারছে না। সারা বিশ্ব প্রাণঘাতী ভাইরাসের ভয়ে কাঁটা হয়ে রয়েছে। অন্ধকার কেটে কবে যে আলো আসবে তার কোন পূর্বাভাস পাওয়া যাচ্ছে না। উল্টে প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত মানুষের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। ভারত, আমেরিকা, ইতালি, স্পেন, ব্রিটেনসহ বিশ্বের প্রায় সব দেশেই রোজ নতুন করে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। উদ্বেগে রয়েছে সাধারণ মানুষ। পরিস্থিতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।
লকডাউন ছাড়া আর অন্য কোনো উপায় নেই। কিন্তু তাতে আবার আরো বড় বিপদ। আর্থিক দিক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে দীর্ঘদিন লকডাউন এর পথে আর হাঁটতে পারবে না সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে প্রশাসন। এরই মধ্যে আরও ভয়ঙ্কর দিনের আশঙ্কায় প্রস্তুতি সেরে রাখছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ফোর্বস জানিয়েছে, দক্ষিণ আফ্রিকার গাওতেং প্রদেশে ১৫ লাখ কবর খোঁড়া হচ্ছে। সেখানকার প্রশাসনের এমন উদ্যোগে ইতিমধ্যে সমালোচনা শুরু হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় করোনার হট স্পট এই প্রদেশ। সেখানকার মেডিকেল কাউন্সিলের সদস্য ডা. বান্দিলে মাসুকু জানিয়েছেন, বাধ্য হয়েই তাঁদের এমন অস্বস্তিকর একটি সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে অনেকেই বলছেন, প্রশাসন তা হলে নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে এমন নিন্দনীয় কাজ শুরু করেছে!
আরও পড়ুন- ''করোনা বৃষ্টির মতো, সবাইকে ভিজতে হবে'', বক্তা নিজেই প্রাণঘাতী ভাইরাসে আক্রান্ত
#Covid_19SA Gauteng Government is preparing for the worst. This grave site on the outskirts of Pretoria, the country's capital is being prepared & reserved for Covid-19 burials. Gauteng is poised to become the #Covid_19SA epicentre soon. #eNCA pic.twitter.com/CLnEzAHbV5
— Siphamandla Goge (@SiphamandlaGoge) July 8, 2020
প্রেটোরিয়া এবং জোহানেসবার্গ গাওতেং প্রদেশের অন্তর্ভুক্ত। জোহানেসবার্গ এই অঞ্চলের রাজধানী। গাওতেংয়ে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭১ হাজার ছাড়িয়েছে। দেশের মোট আক্রান্তের ৩৩ শতাংশ এখানেই। দক্ষিণ আফ্রিকায় দুলাখ ১৫ হাজারের বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এর মধ্যে তিন হাজার ৬০২ জন মারা গিয়েছেন।