সেরে উঠছেন হুমায়ূন আহমেদ
ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন হুমায়ূন আহমেদ। এমাসের শুরুতে সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় তাঁর বৃহদন্ত্রে ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিত্সা করাতে আমেরিকায় যান বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়সাহিত্যিক। বর্তমানে তিনি রয়েছেন নিউইর্কের একটি হাসপাতালে।
ক্রমশ সুস্থ হয়ে উঠছেন হুমায়ূন আহমেদ। এমাসের শুরুতে সিঙ্গাপুরে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সময় তাঁর বৃহদন্ত্রে ক্যানসার ধরা পড়ে। চিকিত্সা করাতে আমেরিকায় যান বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয়সাহিত্যিক। বর্তমানে তিনি রয়েছেন নিউ ইর্কের একটি হাসপাতালে। সেখানে তাঁর কেমোথেরাপি চলছে। সম্প্রতি তাঁর আরোগ্যকামনা করেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। হুমায়ূন আহমেদের সুস্থ হয়ে ওঠার খবরে খুশি পাঠক থেকে প্রকাশক, সকলেই। উনিশশো আটচল্লিশের তেরোই নভেম্বর নেত্রকোনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন হুমায়ূন আহমেদ। বিজ্ঞানের ছাত্র হলেও, সাহিত্যেও তাঁর ছিল সমান আগ্রহ। রসায়নশাস্ত্রে অধ্যাপনা করার সময় থেকেইশুরু করেন লেখালেখি।
নিজের প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকে থেকেই সাহিত্য জগতে তাঁর সুনাম ছড়িয়ে পড়ে। চারটি উপন্যাস লিখেই উনিশশো একাশি সালে পান বাংলা অ্যাকাডেমি সাহিত্য পুরস্কার। শুধু উপন্যাস নয়। ছোটো গল্প কিংবা তাঁর লেখা বহু নাটক নিয়ে তৈরি হয়েছে টিভি সিরিয়াল এবং সিনেমা। তাঁর লেখা পড়েননি, বাংলাদেশে এমন মানুয খুব কমই আছেন। দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশেও সমান জনপ্রিয় হুমায়ূন আহমেদ। এমাসে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে সিঙ্গাপুরে গিয়েছিলেন তিনি। মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে পরীক্ষার সময়ই জানা যায়, হুমায়ূন আহমেদের বৃহদান্ত্রে বাসা বেঁধেছে ক্যানসার। এই চরম দুঃসংবাদে ঘাবড়াননি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় লেখক হুমায়ূন আহমেদ। বেঁচে থাকার ইচ্ছা তাঁকে টেনে নিয়ে যায় মার্কিন মুলুকে। নিউইয়র্কের স্লোন কেটারিং ক্যান্সার সেন্টারে বর্তমানে চিকিত্সাধীন হুমায়ুন আহমেদ। লেখকের মানসিক ইচ্ছার কাছে হার মানে কেমোথেরাপির যন্ত্রণা। শুরু দিকে কেমো নিতে তিন ঘণ্টা থাকতে হয়েছে হাসপাতালে। পরের আটচল্লিশ ঘণ্টায়,শরীরের মধ্যে নল ঢুকিয়ে, পাঠানো হত খাবার।