সর্বদলীয় বৈঠকে হিনার আক্ষেপ: গুরুত্ব দিচ্ছে না আমেরিকা
হক্কানি গোষ্ঠীর কার্যকলাপে পাকিস্তানের কোনও সমর্থন নেই। ইসলামাবাদের এই দৃষ্টিভঙ্গীকে গুরুত্বই দেয়নি ওয়াশিংটন । মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ তিনঘণ্টার বৈঠকের পরেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির ডাকে সর্বদল বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার।
হক্কানি গোষ্ঠীর কার্যকলাপে পাকিস্তানের কোনও সমর্থন নেই। ইসলামাবাদের এই দৃষ্টিভঙ্গীকে গুরুত্বই দেয়নি ওয়াশিংটন। মার্কিন বিদেশসচিব হিলারি ক্লিনটনের সঙ্গে তাঁর দীর্ঘ তিনঘণ্টার বৈঠকের পরেও পরিস্থিতির কোনও পরিবর্তন হয়নি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির ডাকে সর্বদল বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছেন পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার। বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্যে অস্বস্তি বেড়েছে পাকিস্তান সরকারের ।
সেপ্টেম্বরের তেরো তারিখ কাবুলে মার্কিন দূতাবাসে হামলার পিছনে হক্কানি গোষ্ঠী রয়েছে বলে সন্দেহ আমেরিকার। হামলা চলাকালীন জঙ্গিরা পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের কিছু অফিসারের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলছিল। তার তথ্যপ্রমাণ রয়েছে মার্কিন গোয়েন্দাদের কাছে। এই জায়গা থেকেই পাক-আমেরিকা সাম্প্রতিক চাপানউতোরের সূচনা। জটিলতা ঘনীভূত হয় মার্কিন নৌবাহিনীর প্রধান মাইক মুলেন সেপ্টেম্বর তেরো তারিখের হামলার পিছনে আইএসআই-এর মদত আছে বলে অভিযোগ করায়। আইএসআই-এর লেফটন্যান্ট জেনারেল আহমেদ সুজা পাশার দাবি আইএসআই কোনওভাবেই সাহায্য করেনি হক্কানিদের। সুজা পাশার দাবি, হক্কানিদের তিনটি গোষ্ঠী। তার সঙ্গে আইএসআই-এর কোনও যোগাযোগ নেই। কিন্তু পাকিস্তানের এসব কথায় কর্ণপাত করেনি আমেরিকা। পাক বিদেশমন্ত্রী হিনা রব্বানি খার রাষ্ট্রসংঘের বৈঠকে যোগ দেওয়ার ফাঁকে বারেবারেই সেই বার্তা দিতে চেয়েছেন আমেরিকাকে। কিন্তু কাজের কাজ য়ে কিছুই হয়নি, সেবিষয়টি ধরা পড়েছে ইউসুফ রাজা গিলানির ডাকা সর্বদল বৈঠকে খারের মন্তব্যেই। খারের অভিযোগ পাক দৃষ্টিভঙ্গীকে কোনও গুরুত্বই দেয়নি আমেরিকা। মার্কিন বিদেশসচিবের সঙ্গে তিন ঘণ্টা বৈঠকের পরেও কেবল মার্কিন দৃষ্টিভঙ্গিই জায়গা করে নিয়েছে গণমাধ্যমে। খারের দাবি সম্মেলনে চল্লিশটি দেশের বিদেশমন্ত্রী মার্কিন অবস্থানকেই সমর্থন জানিয়েছেন। যার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ব্যাকফুটে চলে গিয়েছে পাকিস্তান। এবিষয়ে পাক সেনা প্রধান জেনারেল আশফাক পারভেজ কিয়ানির বক্তব্য যদিও, যেকোনও বিষয়েই প্রতিটি দেশের নিজস্ব কিছু দৃষ্টিভঙ্গি থাকে। তাই এমন একটা বিষয়কে দেশের পরাজয় হিসেবে দেখার অর্থ হয় না। সর্বদল বৈঠকে পাকিস্তানের সন্ত্রাসদমন নীতি পুনর্বিবেচনার বিষয়ে কথা হয়। সমস্যা মেটাতে উপজাতি এলাকার মানুষের সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে পারে পাকিস্তান।