Pakistan: বিপাকে হিজবুল মুজাহিদিন, রাওয়ালপিন্ডিতে আততায়ীর গুলিতে নিহত বশির আহমেদ পীর
সোমবার গভীর রাতে পাকিস্তানের রাওয়ালপিন্ডিতে হিজবুল মুজাহিদিনের লঞ্চিং কমান্ডার বশির আহমেদ পীর ওরফে ইমতিয়াজ আলমকে গুলি করে হত্যা করা হয়।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হিজবুল মুজাহিদিনের 'শীর্ষস্থানীয় কমান্ডার', বশির আহমেদ পীর ওরফে ইমতিয়াজ আলম পাকিস্তানের রাজধানী ইসলামাবাদে অজ্ঞাত বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার পাঁচ মাস আগে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে মনোনীত করে তাকে।
পাকিস্তানি মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ইসলামাবাদের রাওয়ালপিন্ডি এলাকায় একটি দোকানের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার সময় হামলাকারীরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়।
আলমকে হিজবুল মুজাহিদিন প্রধান সৈয়দ সালাহউদ্দিনের ঘনিষ্ঠ মনে করা হতো। বর্তমানে, 'কমান্ডার' অনুপ্রবেশের পথ চিহ্নিত করে এবং রসদ সরবরাহ করে কাশ্মীরে নতুন রিক্রুট পাঠানোর দায়িত্বে ছিলেন।
আলম ওরফে হাজি উত্তর কাশ্মীরের কুপওয়ারা জেলার বাবরপোরা এলাকার বাসিন্দা। তিনি ২০০০ সাল থেকে সক্রিয় এবং পাকিস্তান থেকে নিজের কাজ পরিচালনা করেন।
কেন্দ্র ২০২২ সালের অক্টোবরে আলমকে সন্ত্রাসবাদী হিসাবে মনোনীত করেছিল। তাকে হিজবুল মুজাহিদিনের ‘লঞ্চিং কমান্ডার’ হিসাবে বর্ণনা করা হয়। ‘বিশেষ করে কুপওয়ারায় অনুপ্রবেশ করার জন্য এবং জম্মু ও কাশ্মীরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীর সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য’ কাজ করছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন: Afghanistan: উদ্বেগ এবং অভিযোগের আরও ভাল সমাধানের আশ্বাস, স্বীকৃতির জন্য নতুন আবেদন তালিবানের
আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দের প্রধান কমান্ডার জাকির মুসাকে হত্যার অভিযোগও ছিল পীরের বিরুদ্ধে।
জাকির মুসাকে ২৩ মে, ২০১৯ সালে খুন করা হয়। ২০০৭ সালের মার্চ মাসে, পিরকে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা দফতর হেফাজতে নিয়েছিল। তবে আইএসআই-এর নির্দেশে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর থেকে তিনি ভারতের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে পাকিস্তানে আত্মগোপন করে ছিলেন।