Hassan Nasrallah: মাটির ৬০ ফুট গভীর বাঙ্কারে থেকেও রক্ষা পাননি হেজবোল্লা প্রধান, কীভাবে হামলা ইজরায়েলের?....
Hassan Nasrallah: রাসি এক সংবাদমাধ্যমের খবর, নাসরুল্লার দক্ষিণ লেবাননের ওই বাঙ্কারে থাকার খবর ইজরায়েলকে দিয়ে দেন এক ইরানি গুপ্তচর
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গত শুক্রবার বেইরুটে ইজরায়েলি বোমা হামলায় নিহত হন হেজবোল্লা প্রধান হাসান নাসরুল্লা। নিশ্চিত গোয়েন্দা তথ্যের উপরে ভিত্তি করে ইজরায়েলি বায়ুসেনার ওই হামলায় নাসরুল্লা ছাড়াও নিহত হন দলের বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা। মাটির ৬০ ফুট গভীরে এক বাঙ্কারে থাকার পরেও রক্ষা পাননি হেজবোল্লা প্রধান।
আরও পড়ুন-পাথর বোঝাই ডাম্পারে প্রবল গতিতে ধাক্কা মারল লাক্সারি বাস, ঘটনাস্থলেই নিহত ১০, আহত বহু
এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী ওই সময় দলের গুরুত্বপূর্ণ সদস্যদের সঙ্গে একটি বৈঠকে ছিলেন নাসরুল্লা। ফরাসি এক সংবাদমাধ্যমের খবর, নাসরুল্লার দক্ষিণ লেবাননের ওই বাঙ্কারে থাকার খবর ইজরায়েলকে দিয়ে দেন এক ইরানি গুপ্তচর।
জানা যাচ্ছে ওই বাঙ্কারে হামলার জন্য ইজরায়েল ৮০ টন বিস্ফোরক ব্যবহার করেছিল। এর সঙ্গে ছিল ৮৫টি বাঙ্কার বিধ্বংসী বিস্ফোরক। ওইসব বিস্ফোরক মাটির ৩০ মিটার ও ৬ মিটার পুর কংক্রিটের নীচে কোনও বস্তুতে ধ্বংস করতে সক্ষম। ইজরায়েল বায়ুসেনার মতে সবকিছুই ছিল নিখুঁত। আগাম খবর ছিল, সঙ্গে ছিল বায়ুসেনার নিখুঁত অপারেশন।
হেজবোল্লাকে কাবু করার জন্য শুক্রবারের অপারেশনের আগে মোট ২ হাজার বার হামলা চালিয়েছে ইজরায়েল। হেজবোল্লার মিলিটারি লক্ষ্য়বস্তুর উপরে বেছে বেছে হামলা চালানো হয়। শুক্রবারের হামলার জন্য কয়েক মাস ধরে পরিকল্পনা করা হচ্ছিল। যে মুহূর্তে নাসরুল্লার ওই বাঙ্কারে উপস্থিতির খবর পাওয়া যায় সেই মুহূর্তেই হামলা চালানো হয়।
বহুদিন ধরেই হেজবোল্লা ও ইরানের বিরুদ্ধে হামলার প্রস্তুতি চালিয়ে আসছিল মোসাদ। ২০০৮ সালে মোসাদ ও সিআইএ একসঙ্গে কাজ করে হেজবোল্লা নেতা ইমাদ মুগলিয়াকে হত্যা করে। ২০২০ সালে তাদের শিকার ইরানি জেনারেল কাসিম সুলেমানি।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)