ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট না করায় আমরণ অনশনে তরুণ
ফেসবুক প্রজন্মের প্রতিবাদের কারণটা অন্য রকম, কিন্তু ধরনটা সেই আগের মত। যে অস্ত্র কাজে লাগিয়ে দেশ স্বাধীনের দাবি চাওয়া হয়, গণতন্ত্রকে বাঁচানোর ডাক দেওয়া হয়, ক্ষমতা বদলের আশা করা হয়, সেই অস্ত্রই ব্যবহার করা হল ফেসবুকে বন্ধুত্ব করার জন্য।
ওয়েব ডেস্ক: ফেসবুক প্রজন্মের প্রতিবাদের কারণটা অন্য রকম, কিন্তু ধরনটা সেই আগের মত। যে অস্ত্র কাজে লাগিয়ে দেশ স্বাধীনের দাবি চাওয়া হয়, গণতন্ত্রকে বাঁচানোর ডাক দেওয়া হয়, ক্ষমতা বদলের আশা করা হয়, সেই অস্ত্রই ব্যবহার করা হল ফেসবুকে বন্ধুত্ব করার জন্য।
ব্যাপরটা খোলসা করে বলা যাক। ঘটনার প্রতিবাদী চরিত্র হলেন মাইক হর্ন। থাকেন ক্যালিফর্নিয়ায়। মাইকের খুব পছন্দ তারই স্কুলে পড়া লুসি নামের এক মেয়েকে। মাইক এমনিতে লাজুক প্রকৃতির। তাই সে সেইভাবে কথা বলতে পারে না লুসির সঙ্গে। তাই মাইক চেয়েছিল লুসির সঙ্গে ফেসবুকে বন্ধুত্ব পাতাবে। কিন্তু বিধি বাম। বারবার 'ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট' পাঠান সত্ত্বেও লুসি 'অ্যাকসেপ্ট' করেনি। এরপরই আমরণ অনশন করার সিদ্ধান্ত ফেসবুকে ঘোষণা করে মাইক।
প্রথমটায় মাইকের এই ঘোষণা কেউ সেভাবে পাত্তা দেয়নি। কিন্তু একদিন, দু দিন, তিনদিন পেরিয়ে যাওয়ার পর ব্যাপরটায় সবার নজরে যায়। মাইক রাস্তার ধারে বসে না খেয়ে দিনরাত কাটাচ্ছে, তার সামনে শুধু একটা ল্যাপটপ। মাইকের ফেসবুকে বন্ধুর সংখ্যা লাফিয়ে অনেকটা বেড়ে গেল। মাইকের পাশে থাকতে অনেকেই চলে এল অনশন মঞ্চে। শেষ অবধি অবশ্য চারদিনের মাথায় দাবি আদায় হল। লুসি 'ফ্রেন্ড রিকুয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট' করল। হাসি মুখে জুস মুখে দিয়ে অনশন ভাঙল মাইক।