আমেরিকার দিকে এগিয়ে চলেছে হারিকেন স্যান্ডি
কিউবা এবং জামাইকায় ধ্বংসলীলা চালানোর পর এবার আমেরিকার দিকে এগিয়ে চলেছে হারিকেন স্যান্ডি। বর্তমানে পনেরো মাইল প্রতি ঘণ্টায় গতিতে উত্তর থেকে পূর্ব দিকে এগোচ্ছে স্যান্ডি। তবে মার্কিন মুলুকে আছড়ে পড়ার পর ঝড়ের গতিবেগ বেড়ে দাঁড়াবে ঘণ্টায় পঁচাত্তর মাইল।
কিউবা এবং জামাইকায় ধ্বংসলীলা চালানোর পর এবার আমেরিকার দিকে এগিয়ে চলেছে হারিকেন স্যান্ডি। বর্তমানে পনেরো মাইল প্রতি ঘণ্টায় গতিতে উত্তর থেকে পূর্ব দিকে এগোচ্ছে স্যান্ডি। তবে মার্কিন মুলুকে আছড়ে পড়ার পর ঝড়ের গতিবেগ বেড়ে দাঁড়াবে ঘণ্টায় পঁচাত্তর মাইল। নিউইয়র্কের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার জানাচ্ছে, প্রায় বারোটি রাজ্যের উপর দিয়ে যাবে সামুদ্রিক ধড় স্যান্ডি। চব্বিশ থেকে ছত্রিশ ঘণ্টা ধরে চলবে তাণ্ডব। সেইসময় পঁচিশ সেন্টিমিটার বৃষ্টি, ষাট সেন্টিমিটার তুষারপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।
স্যান্ডি আছড়ে পড়ার আগেই মধ্য আতলান্টিক অঞ্চলে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। ফলে বেশকিছু এলাকা বানভাসী। ইতিমধ্যেই মেরিল্যান্ড, নিউইয়র্ক, পেনিসিলভেনিয়া, ভার্জিনিয়া, ওয়াশিংটন ডিসি ও নর্থ ক্যারোলিনায় জরুরী অবস্থা জারি হয়েছে। পূর্ণ চন্দ্রের প্রভাবে সমুদ্রে এগারো ফুট উঁচু জলোচ্ছাসেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তার জন্যই স্যান্ডিকে এখন ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড় বা ফ্র্যাঙ্কেনস্টর্ম হিসেবে বর্ণনা করেছে ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার। দেশবাসীকে স্যান্ডির ব্যাপারে সতর্ক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
স্যান্ডির জন্য নিউইয়র্ক, নিউজার্সি, পেনিসিলভেনিয়া, ওয়াশিংটন, কানেটিকট, ডেলওয়্যার ও বোস্টন বিমানবন্দরে গত দু`দিনে ছ-হাজার উড়ান বাতিল করা হয়েছে। যার মধ্যে তিন হাজারেরও বেশি আন্তর্জাতিক উড়ান। এ অবস্থায় এয়ার ইন্ডিয়াও তাদের মুম্বই নেওয়ার্ক এবং নয়াদিল্লি-নিউইয়র্ক উড়ান অনির্দিষ্টকালের জন্য পিছিয়ে দিয়েছে। উড়ানের পাশাপাশি বিপর্যস্ত সড়ক ও রেল পরিষেবাতেও। রবিবার থেকেই উত্তর থেকে পূর্বে রেল পরিষেবা ধাপে ধাপে বন্ধ করতে শুরু করেছে অ্যামট্রেক। রবিবার থেকে নিউইয়র্ক শহরে বন্ধ রয়েছে সাবওয়ে, বাস ও রেল পরিষেবা।
রবিবার খোলার পরই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে স্ট্যাচু অফ লিবার্টি। সোমবার দিনভর বন্ধ থাকছে নিউইয়র্ক স্টক এক্সচেঞ্জ। সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেও ছুটি ঘোষিত হয়েছে। স্যান্ডির কারণে সোমবার ভার্জিনিয়ায় কয়েকটি নির্বাচনী জনসভাও বাতিল করেছেন রিপাবলিক্যান প্রার্থী মিট রমনি। একই কারণে কলোরাডোর প্রচার বন্ধ রেখেছেন বারাক ওবামাও। ক্যারেবিয়ন সাগরে সৃষ্টি হওয়া এই ঘূর্ণিঝড়ে কিউবা এবং জামাইকায় প্রাণ হারিয়েছেন ছেষট্টিজন। আবহাওয়া দফতরের আশঙ্কা, এবার যুক্তরাষ্ট্রে প্রায় পাঁচ কোটি মানুষ এই ঘূর্ণিঝড়ের ঝুঁকির মুখে রয়েছেন।