বিদেশ সফরের ছাড়পত্র হাক্কানির

আমেরিকায় নিযুক্ত প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানিকে বিদেশ সফরের ছাড়পত্র দিল পাক সুপ্রিম কোর্ট। মেমোগেট কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে হাক্কানিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পাক সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে সেনাবাহিনী।

Updated By: Jan 30, 2012, 05:06 PM IST

আমেরিকায় নিযুক্ত প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানিকে বিদেশ সফরের ছাড়পত্র দিল পাক সুপ্রিম কোর্ট। মেমোগেট কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগে হাক্কানিকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হয়। রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে পাক সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা পেশ করে সেনাবাহিনী। পাক শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, মেমোগেট কেলেঙ্কারির তদন্ত চলাকালীন দেশের বাইরে যেতে পারবেন না প্রাক্তন পাক রাষ্ট্রদূত।
চলতি বছরের নভেম্বর মাসে মনসুর ইজাজ নামে এক পাক বংশোদ্ভূত মার্কিন শিল্পপতির ফাঁস করে দেওয়া মেমোতে প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি ও আমেরিকায় নিযুক্ত তত্‍কালীন পাক রাষ্ট্রদূত হুসেন হাক্কানির নাম জড়িয়ে যায়। ইজাজ দাবি করেন, মে মাসে হাক্কানির নির্দেশে তিনি একটি স্মারকলিপি বানিয়ে মার্কিন সেনাপ্রধান মাইক ম্যুলেনকে দিয়েছিলেন। সেই স্মারকলিপিতে বলা হয়েছিল, গোপনে অভ্যুত্থানের ছক কষছে পাক সেনাবাহিনী। প্রেসিডেন্ট জারদারির নির্দেশে বানানো ওই মেমো`তে পাক সেনার সম্ভাব্য অভ্যুত্থান ঠেকাতে আফগানিস্তানে মোতায়েন মার্কিন ফৌজের সাহায্যও প্রার্থনা করা হয়েছিল। হাক্কানি অবশ্য দাবি করেন, পাকিস্তানের সেনাবাহিনী ও সরকারের মধ্যে দুরত্ব তৈরি করতেই এই ভুয়ো স্মারকলিপির গল্প তৈরি করা হয়েছে। যদিও সেই সাফাইয়ে সন্তুষ্ট হননি জেনারেল কায়ানি। সেনাবাহিনীর চাপে ইস্তফা দিতে হয় হাক্কানিকে। তাঁর বিরুদ্ধে শুরু হয় মামলা। এমনকী পাক সেনার হামলার ভয়ে প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানির বাড়িতে আশ্রয় নিতে হয় হাক্কানিকে। বিদেশ সফরের ছাড়পত্র পেয়ে হাক্কানি জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্ট থেকে এই ছাড়পত্র পেয়ে তিনি খুশি।

.