সীমান্তে বারুদের গন্ধ! মস্কোয় ফের চিনের মুখোমুখি ভারত

সোমবার প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ কোলে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। সশস্ত্র চিনা লিবারেশন আর্মি ভারতের ভূখণ্ডে থাকা গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখলের চেষ্টা করে

Updated By: Sep 10, 2020, 10:27 AM IST
সীমান্তে বারুদের গন্ধ! মস্কোয় ফের চিনের মুখোমুখি ভারত
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: বৃহস্পতিবার মস্কোয় মুখোমুখি হতে চলেছেন ভারত-চিনের দুই বিদেশমন্ত্রী। সম্প্রতি দুই দেশের সীমান্ত উত্তেজনাই তাঁদের আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাঁদের আলোচনা কতটা সফল হবে, এখন এটাই লাখ টাকার প্রশ্ন।

গত শুক্রবার, মস্কোয় সাংহাই কোঅপারেশন অর্গানাইজেশন সম্মলনে চিনের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ওয়ে ফেনঘের সঙ্গে বৈঠক করেন রাজনাথ সিং। লাদাখ সীমান্তের বিবাদ নিয়ে বিস্তর আলোচনা হয় তাঁদের। তারপরও প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা অতিক্রম করে প্য়াংগং হ্রদের দক্ষিণে ভারতীয় ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে লাল ফৌজ। এই প্রথম গুলি চালনার ঘটনা ঘটে। 

দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক এই মুহূর্তে তলানিতে। সীমান্ত বিবাদ ছাড়াও দুই দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নতি নিয়েও এস জয়শঙ্কর এবং ওয়াং ই-র সঙ্গে আলোচনা হওয়ার কথা। বৈঠক অংশগ্রহণ করার আগে সংবাদমাধ্যমকে এস জয়শঙ্কর জানিয়েছিলেন, লাদাখ পরিস্থিতি অত্যন্ত সঙ্কটজনক। প্রয়োজন গভীর আলোচনার। আলোচনার মাধ্যমে দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের উন্নতি সম্ভব। আজ সে পথেই হেঁটে জয়শঙ্কর নয়া দিল্লির অবস্থান স্পষ্ট করতে পারেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

সোমবার প্যাংগং হ্রদের দক্ষিণ কোলে নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। সশস্ত্র চিনা লিবারেশন আর্মি ভারতের ভূখণ্ডে থাকা গুরুত্বপূর্ণ অংশ দখলের চেষ্টা করে। ভারতের দাবি অনুযায়ী, সংযমের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালায় সেনা। চিনের তরফেই প্রথম গুলি চালানো হয় বলে ভারতের অভিযোগ। সাম্প্রতিক ঘটনায় এই প্রথম চিন-ভারত সীমান্ত গুলি চালনার খবর পাওয়া গেল। ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, গত ৪৫ বছরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখায় গুলি চলেনি। 

আরও পড়ুন- লাদাখ সীমান্ত প্রতিরক্ষায় প্রতিশোধ নিতে ছেড়ে কথা বলবে না ভারত!

উল্লেখ্য, এ দিন বেজিং তরফে দাবি করা হয়, ভারতই প্ররোচনামূলক কার্যকলাপ শুরু করে। তাদের দিক থেকেই প্রথম গুলি চালানো হয় বলে পিএলএ-র দাবি। ভারত যদিও সে দাবি নস্যাত্ করে দিয়েছে। মস্কোয় তাঁর কাউন্টারপার্ট ওয়ে ফেনঘেকে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং জানিয়েছিলেন, চিনা সেনার কার্যকলাপ প্রকৃত সীমান্ত রেখায় বিঘ্নিত করছে। সীমান্তের সার্বিক পরিস্থিতি স্বাভাবিক করাতে নয়া দিল্লির সঙ্গে আলোচনা করার প্রয়োজন বেজিংয়ের। রাজনাথের এই বার্তার পরও লাল ফৌজ তাদের কার্যকলাপ বন্ধ করেনি। উল্টে নজিরবিহীনভাবে গুলি চলল লাদাখ সীমান্তে।  

.