সন্ত্রাসবাদের ডেরা থেকে কাশ্মীর নিয়ে অপপ্রচার চলছে, পাকিস্তানের নাকে ঝামা ঘসে দিল ভারত

রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনে পাকিস্তানের মিথ্যাভাষণের কড়া জবাব দিল ভারত। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশির গলাবাজির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জেনিভায় পাকিস্তানের আওয়াজ বন্ধ করে দিল ভারত। স্পষ্ট জানিয়ে দিল, কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষাধিকার প্রত্যাহার নিয়ে অনর্গল অসত্য ধারাভাষ্য দিয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশ। 

Updated By: Sep 10, 2019, 08:17 PM IST
সন্ত্রাসবাদের ডেরা থেকে কাশ্মীর নিয়ে অপপ্রচার চলছে, পাকিস্তানের নাকে ঝামা ঘসে দিল ভারত

নিজস্ব প্রতিবেদন: রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনে পাকিস্তানের মিথ্যাভাষণের কড়া জবাব দিল ভারত। পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশির গলাবাজির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে জেনিভায় পাকিস্তানের আওয়াজ বন্ধ করে দিল ভারত। স্পষ্ট জানিয়ে দিল, কাশ্মীরের সাংবিধানিক বিশেষাধিকার প্রত্যাহার নিয়ে অনর্গল অসত্য ধারাভাষ্য দিয়ে চলেছে প্রতিবেশী দেশ। 

এদিন রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার কমিশনের ৪২তম অধিবেশনে ভারতের প্রতিনিধি বিজয় ঠাকুর সিং বলেন, 'কাশ্মীর থেকে সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত আইনসভায় পাস হয়েছে। সেই বিতর্ক গোটা বিশ্ব টিভিতে দেখেছে। এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করেছে আপামর ভারতবাসী। এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারত সরকারের যাবতীয় নীতি কাশ্মীরেও কার্যকর হবে। যাতে লিঙ্গবৈষম্য দূর হবে, সুরক্ষা পাবে শিশুরা। এছাড়া নাগরিকদের পেশা, শিক্ষা ও তথ্য জানার অধিকার সুরক্ষিত হবে।'

 

এদিন ভারত ফের জানায়, 'কাশ্মীর ভারতের অভ্যন্তরীণ ইস্যু। কোনও দেশই তার অভ্যন্তরীণ ব্যাপারে অন্যের হস্তক্ষেপ মেনে নেয় না। যাবতীয় বাধা সত্বেও কাশ্মীরে জরুরি পরিষেবা, যোগাযোগ ব্যবস্থা ও দূরসঞ্চার ব্যবস্থা সচল রেখেছে স্থানীয় প্রশাসন। সেখানে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া শুরু করা হচ্ছে। নিষেধাজ্ঞা ক্রমশ শিথিল হচ্ছে। সীমান্তপার সন্ত্রাসের আশঙ্কার মধ্যেও একাজ করা হচ্ছে।'

ভারতের তরফে জানানো হয়, 'রাষ্ট্রের মদতপুষ্ট সন্ত্রাসবাদের সব থেকে বড় শিকার ভারত। মানবাধিকার বিপন্ন করে এমন জঙ্গিগোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে একজোট হয়ে কাজ করার সময় এসেছে। এব্যাপারে আমাদের সবার সরব হওয়া উচিত। কারণ নীরবতা সন্ত্রাসবাদের সমর্থকদের শক্তি জোগায়।' 

গাছের গায়ে বিজ্ঞাপন ঝোলালে এবার ৩ বছরের জেল, হতে পারে ২৫,০০০ টাকা জরিমানাও

পাকিস্তানের নাম করে শানিত আক্রমণ চালান ভারতের প্রতিনিধি। বলেন, একটি প্রতিনিধিদল আমার দেশের বিরুদ্ধে এখানে অনর্গল হিংসাত্মক ভাষায় মিথ্যা অভিযোগের ধারাভাষ্য দিয়ে গিয়েছে। সবাই জানে এই বানানো গল্প এসেছে বিশ্ব সন্ত্রাসবাদের উপকেন্দ্র থেকে। যেখানে সন্ত্রাসবাদের পান্ডাদের বছরের পর বছর আশ্রয় দেওয়া হয়। বিকল্প কূটনীতি হিসাবে এরা সীমান্তের ওপার থেকে সন্ত্রাসে মদত দেয়। 

বলে রাখি, মঙ্গলবার UNHRC-তে কাশ্মীরে মানবাধিকার নিয়ে গোটা বিশ্বের সামনে কুমিরের কান্না কাঁদেন পাক বিদেশমন্ত্রী শাহ মামুদ কুরেশি। অধিবেশনকক্ষ থেকে বেরিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনের সময় যদিও কাশ্মীরকে ভারতের অংশ বলে স্বীকার করে নেন তিনি। এই প্রথম কাশ্মীরকে ভারতের অংশ হিসাবে মেনে নিল পাকিস্তানের কোনও মন্ত্রী। 

.