ভারতীয়রা নেপাল গেলে এবার থেকে মানতে হবে এই শর্ত, জানিয়ে দিল ওলির সরকার
নেপাল অবশ্য ভারতীয়দের প্রবেশে এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। তবে পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে তারা ভারতীয়দের নিজের দেশে প্রবেশে বাধা দিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
নিজস্ব প্রতিবেদন : ভারতের বন্ধু দেশ নেপাল। এতদিন পর্যন্ত এমনটাই জানত সবাই। তবে এখন দুই দেশের সম্পর্কের সংজ্ঞা বদলেছে। আর তাই নেপাল ও ভারতের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আর আগের মতো নেই। নেপাল ভ্রমণে এতদিন পর্যন্ত ভারতীয় নাগরিকদের কোনও নিষেধাজ্ঞা ছিল না। নেপালের অর্থনীতির মূল ভিত্তি পর্যটন। আর প্রতি বছর ভারত থেকে কয়েক হাজার পর্যটক নেপালে ঘুরতে যান। নেপাল অবশ্য ভারতীয়দের প্রবেশে এখনও নিষেধাজ্ঞা জারি করেনি। তবে পরিস্থিতি যেদিকে এগোচ্ছে তাতে অদূর ভবিষ্যতে তারা ভারতীয়দের নিজের দেশে প্রবেশে বাধা দিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। নেপালে প্রবেশের ক্ষেত্রে এবার ভারতীয়দের একটি শর্ত মানতে হবে। পরিষ্কার জানিয়ে দিল কেপি শর্মা ওলির সরকার।
কী সেই শর্ত! এবার থেকে নেপালে গেলে ভারতীয়দের পরিচয় পত্র দেখাতে হবে। নেপালের গৃহ মন্ত্রী রাম বাহাদুর থাপা জানিয়েছেন, করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে তাদের প্রশাসন এখন সতর্ক। আর তাই ভারত থেকে কারা তাঁদের দেশে আসছেন তার রেকর্ড রাখতে চান তাঁরা। করোনা মহামারির এই সময়ে অন্য দেশ থেকে কাউকে ঢুকতে দিলে ঝুঁকি থেকে যায়। তবুও ভারতীয়দের নেপাল ভ্রমণে বিধিনিষেধ রাখছে না তাঁরা। তবে নেপালে প্রবেশ করার আগে ভারতীয়দের বাধ্যতামূলকভাবে আইডি কার্ড দেখাতে হবে বলে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর আগে নেপালের প্রধানমন্ত্রী তাঁদের দেশে করোনা সংক্রমণের হার বৃদ্ধি পাওয়ার জন্য ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপিয়েছিলেন। আর এবার ভারতীয়দের জন্য নেপাল প্রবেশে চাপানো হল শর্ত। বোঝাই যাচ্ছে, সম্পর্কের তিক্ততা জিইয়ে রাখতে চাইছে পড়শি দেশ।
আরও পড়ুন- জয় হে! এই প্রথম নায়াগ্রা ফলস-এর সামনে উড়বে ভারতীয় পতাকা
৭৮ কিমি লম্বা কৈলাশ মানসরোবর রোড নিয়ে দুই দেশের মধ্যে ঝামেলার সূত্রপাত হয়েছিল। সেই রাস্তায় একটি ব্রিজ নির্মাণ করেছে ভারত। ওই রাস্তার শেষে নির্মিত ব্রিজ ধারচুলা, লিপুলেখের যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষা করবে। মে মাসে সেই ব্রিজ উদ্বোধনে গিয়েছিলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং। তার পর থেকেই নেপালের মুখ ভার। নেপালের দাবি, লিপুলেখসহ ওই এলাকার তিনটি ভূখণ্ড আদতে তাদের। যদিও তার কোনও প্রমাণ তাঁদের কাছে নেই। এর পরই ওই ভূখণ্ড অন্তর্ভুক্ত করে নতুন মানচিত্র প্রকাশ করেছিল নেপাল। উত্তেজনার মাঝে নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলি আবার বলে বসেন, অযোধ্যা আসলে নেপালে অবস্থিত ছিল। রামচন্দ্র আসলে ছিলেন নেপালের লোক।