Kat Torres: সৌন্দর্যের ফাঁদে ফেলে ফলোয়ারদের যৌন ক্রীতদাস বানিয়ে শিরোনামে ইনস্টা-স্টার!

kat torres: ব্রাজিলের জনপ্রিয় মডেল এবং ওয়েলনেস ইনফ্লুয়েন্সার ক্যাট টরেস। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে তাঁকে আট বছরের জেলবন্দি শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

Updated By: Jul 15, 2024, 08:07 PM IST
Kat Torres: সৌন্দর্যের ফাঁদে ফেলে ফলোয়ারদের যৌন ক্রীতদাস বানিয়ে শিরোনামে ইনস্টা-স্টার!

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ব্রাজিলের জনপ্রিয় মডেল এবং ওয়েলনেস ইনফ্লুয়েন্সার ক্যাট টরেস। নিজের গ্ল্যামারস লাইফস্টাইলের জন্য প্রায়শই লাইমলাইটে দেখা যায় ক্যাট টরেসকে। এছাড়াও তিনি লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর মত হেভিওয়েট অভিনেতার জন্য মেলামেশার জন্য পরিচিত। সম্প্রতি তাঁর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ উঠেছে। যার জেরে তাঁকে আট বছরের জেলবন্দি শাস্তি দেওয়া হয়েছে।

জানা গিয়েছে, নারী পাচার এবং দাসত্বের মত ভয়ংকর অভিযোগ সামনে আসে ক্যাট টরেসের বিরুদ্ধে। FBI তদন্ত থেকে বেরিয়ে আসে যে, ক্যাটের সঙ্গে ২ জন মহিলা থাকত। তারা ২০২২ সালের পর থেকে নিখোঁজ। এক ভুক্তভোগী মহিলা দাবি করেছেন যে, তিনিও টরেসের দ্বারা পাচার  হয়েছিলেন। এবং দাসত্বের শিকার হয়েছেন। 

ওই মহিলা আরও দাবি করেন যে, সমস্ত ভুক্তভোগীরা তাঁর ব্রাজিলিয়ান পাড়ায় হলিউড তারকারদের সঙ্গে কাটানো লাইফস্টাইল আকর্ষন করেছে। টরেসের সঙ্গে একবার অভিনেতা লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিওর সম্পর্কে থাকার গুজব রটে। 

টরেসের প্রাক্তন ফ্ল্যাটমেট, যাঁর সঙ্গে সে নিউইয়র্কে থাকত। তিনি বিবিসিকে জানিয়েছেন, টরেস তাঁর হলিউড তারকাবন্ধুদের মারফত আয়াহুয়াস্কা নামক একটি হ্যালুসিনোজেনিক ড্রাগ নিতেন। এই ড্রাগ ব্যবহার করে নাকি তিনি নিজেকে একজন লাইফ কোচ এবং হিপনোটিস্ট হিসাবে নতুন পরিচয় দিয়েছিলেন। সম্প্রতি, টরেস তাঁর ওয়েলস ওয়েবসাইটে এবং সাবক্রিপশন পরিষেবা তৈরি করেছিলেন। যেখানে তিনি গ্রাহকদের জন্য 'ভালবাসা, অর্থ এবং আত্ম-সম্মান যা আপনি সবসময় স্বপ্ন দেখেছেন' নামে নতুন ভিডিয়ো এনেছিলেন। এছাড়াও তিনি রিলেশনশিপ, ওয়েলনেস, হিপনোসিসের মাধ্যমে ব্যবসায়িক উন্নতি, মেডিটেশন এবং ব্যায়াম সংক্রান্ত প্রোগ্রামের ভিডিয়ো আপলোড করতেন। শুধু তাই নয়, প্রায় ১৩ হাজার টাকার বিনিময়ে তিনি একের পর এক ভিডিয়োতে দেখার জন্য প্রস্তাব দিতেন। যা তাদের যেকোনও সমস্যা সমাধান করবে এই বলে।

২০১৯ সালে অ্যানা, যিনি টরেসের লিভ-ইন সহকারী হিসাবে কাজ করতেন। অশান্তিপূর্ণ ছোটবেলা এবং থেকে পালিয়ে তিনি ব্রাজিল থেকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে একা চলে আসেন। কাজের জন্য টরেসের পালিতদের দেখাশোনা, রান্না করা, জামাকাপড় কাচা এইসব কাজ করতেন। কিন্তু টরেসের ঘরে ঢুকে সে হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি জানান, টরেসের  ঘর ছিল অত্যন্ত নোংরা এবং বিড়ালের প্রস্রাবের গন্ধে  মম করছে। টরেস তাঁর থেকে আশা রেখেছিলেন যে, তিনি সবসময়ের জন্য ফাঁকা থাকবেন। এমনকি টরেস নিয়ম অনুযায়ী, তাঁর মাত্র কয়েক ঘণ্টাই ঘুমানোর অনুমতি দেওয়া ছিল। এত কিছু করা সত্ত্বেও তাঁকে মাইনে দেওয়া হয়নি।

অ্যানা ছেড়ে চলে যাওয়ার পর, টরেস আরও নতুন দুটি মহিলা কাজে রাখে। তাদের নাম- ডিসায়ার এবং লেটিসিয়া। যাঁরা টেক্সাসে টরেসের সঙ্গে থাকত। কয়ের সপ্তাহের মধ্যে ডিসায়ারের উপর জাদুটোনা করে টরেস। এবং তাঁকে জোর করে স্থানীয় একটি স্ট্রিপ ক্লাবে কাজ করার জন্য বাধ্য করে। এমনকি ওই দুই মহিলাকে একে অপরের সঙ্গে কথা বলা নিষেধ করা ছিল। বাথরুম যাওয়ার জন্যও তাদের অনুমতি চাইতে হত। তার কিছুদিনের মধ্যে ডিজায়ারকে দেহব্যবসায় নামতে বাধ্য করা হয়। সেপ্টেম্বরে, দুই মহিলার বন্ধু এবং পরিবার তাদের খুঁজে বের করার জন্য নেটপাড়ায় প্রচার শুরু করে। 

অন্যদিকে, মিডিয়ার দৃষ্টি এড়াতে টরেস তাঁদের টেক্সাস থেকে মেইনে পাঠিয়ে দেয়।  সেখান থেকে, তাদেরকে জোর করে ইনস্টাগ্রামে ভিডিয়ো পোস্ট করতে বাধ্য করা হয়, যে তাঁরা ঠিক আছে এবং তাঁদের খোঁজার চেষ্টা না করা হয়।

জানা গিয়েছে, ২০টিরও বেশি মহিলা টরেস দ্বারা শোষিত ও নিপীড়ত হয়। তাঁদের মধ্যে থেকে যাঁরা বেঁচে ফিরতে পেরেছে, তাদের এখন মানসিক থেরাপি চলছে।

আরও পড়ুন, Ququ Love Guru: বড়লোক বর বাগাবেন কী করে, ইউটিউবে টিপস দিয়েই বছরে ১৬০ কোটি রোজগার এই মহিলার!

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.