অন্তর্জালে আটকা পড়ল দুই মানব মস্তিষ্ক, নিয়ন্ত্রিত হল হাতের গতি

ইন্টারনেটের মাধ্যমে মস্তিষ্কের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগস্থাপন! শুধু তাই নয়, এর ফলে সংযোগস্থাপনকারী দুই ব্যক্তির মধ্যেকার মস্তিষ্কের সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে একে অপরের গতিবিধিও! কল্পবিজ্ঞান নয়, বাস্তবে এই অসাধ্য সাধন করলেন বিজ্ঞানীরা। এর আগেও মস্তিষ্কের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগস্থাপন করা হলেও মানুষের ক্ষেত্রে এই ঘটনা প্রথম ঘটল।

Updated By: Sep 4, 2013, 05:30 PM IST

ইন্টারনেটের মাধ্যমে মস্তিষ্কের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগস্থাপন! শুধু তাই নয়, এর ফলে সংযোগস্থাপনকারী দুই ব্যক্তির মধ্যেকার মস্তিষ্কের সিগন্যাল নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবে একে অপরের গতিবিধিও! কল্পবিজ্ঞান নয়, বাস্তবে এই অসাধ্য সাধন করলেন বিজ্ঞানীরা। এর আগেও মস্তিষ্কের সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগস্থাপন করা হলেও মানুষের ক্ষেত্রে এই ঘটনা প্রথম ঘটল।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পুউটার সায়েন্সের অধ্যাপক রাজেশ রাও হত ১০বছর ধরে এই সংযোগস্থাপনের উপর পরীক্ষানিরীক্ষা চালিয়ে যাচ্ছিলেন। গত মাসের ১২ তারিখ বৈদ্যুতিন মস্তিষ্ক রেকোর্ডিং ব্যবহার করে ও একটি চৌম্বক উদ্দীপনা সৃষ্টি করে তিনি সহকর্মী অ্যানড্রিও স্টোক্কোর সঙ্গে মস্তিষ্কের সংযোগ তৈরি করেন। রাজেশ রাওয়ের পাঠানো মস্তিষ্কের সিগন্যালের ফলে অ্যানড্রিওর আঙুল কিবোর্ডের উপর নিজে থেকেই কাজ করার জন্য প্রস্তুত হয়।

স্টোক্কো জানিয়েছেন যেভাবে কম্পুউটারের সঙ্গে কম্পুউটারের সংযোগ গড়ে তোলে ইন্টারনেট ঠিক তেমনই একদিন মস্তিষ্কের সঙ্গে মস্তিষ্কেরও সংযোগ গড়ে তুলবে ওই ইন্টারনেটই। তিনি দাবি করেছেন তাঁরা একটি মস্তিষ্কের জ্ঞান সংগ্রহ করে মস্তিষ্ক থেকে মস্তিষ্কে ছড়িতে দিতে চান তাঁরা।
পরীক্ষার দিন রাও তাঁর গবেষণাগারে বসেছিলেন। তাঁর মাথায় ছিল একটি টুপি। টুপিটির ইলেকট্রড একটি ইলেকট্রোসেফালোগ্রাফি মেশিনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। এই মেশিন মস্তিষ্কের বৈদ্যুতিন গতিবিধি পড়তে সক্ষম।
অন্যদিকে স্টোক্কো রাও গবেষণাগার থেকে দূরে নিজের ল্যাবরেটরিতে বসে ছিলেন একটি বেগুনী রংয়ের সাঁতারের টুপি পরে। টুপিটার বাঁদিকে স্টোক্কোর মোটর কর্টেক্সের সরাসরি উপরে একটি ট্র্যান্সক্রেনিয়াল চৌম্বক উদ্দীপক কয়েল লাগানো ছিল। মোটর করটেক্স মানুষের হাতের গতি নিয়ন্ত্রণ করে।
স্কাইপের মাধ্যমে দুই প্রান্তের দুই গবেষণাগারে ইন্টারনেট সংযোগ স্থাপন করা হয়। কিন্তু রাও বা স্টোক্কো কেউই যাতে কম্পুউটার স্ক্রিনে একে অপরকে দেখতে না পান সে দিকে খেওয়াল রেখে ছিলেন তাঁদের সহকারীরা। সংযোগ স্থাপনের পর রাও একটি গেম খেলতে গিয়ে তাঁর বাঁদিকের তর্জনীটি তুলে কি বোর্ডে স্পেশ বাটন টিপতে উদ্যত হওয়ার ঠিক একই সময়ে স্টোক্কোর বাঁহাতের তর্জনীটি নিজে থেকেই উঠে কম্পিউটারের স্পেশ বাটনের দিকে এগিয়ে যায়।

.