প্যারিসে পরপর ৬টি বিস্ফোরণ। নিহত ১২৮ এবং আহত বহু। বিস্ফোরণের দায় স্বীকার আইসিসের। জঙ্গি হামলার জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে ফ্রান্সে।
প্যারিসের পর পর জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করল আইসিস। হামলার পরই টুইটারে জঙ্গিদের অভিনন্দন জানায় ওই জঙ্গি সংগঠন। এরপরই আইসিস দায় স্বীকার করেছে বলে খবর প্রকাশ করে ইউরোপের বিভিন্ন মিডিয়া। সিরিয়া হামলার বদলা নিতেই প্যারিসে হামলা। বাটাক্লাঁ কনসার্ট হলে এক জঙ্গি একথা আগেই জানিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
ওয়েব ডেস্ক: প্যারিসের পর পর জঙ্গি হামলার দায় স্বীকার করল আইসিস। হামলার পরই টুইটারে জঙ্গিদের অভিনন্দন জানায় ওই জঙ্গি সংগঠন। এরপরই আইসিস দায় স্বীকার করেছে বলে খবর প্রকাশ করে ইউরোপের বিভিন্ন মিডিয়া। সিরিয়া হামলার বদলা নিতেই প্যারিসে হামলা। বাটাক্লাঁ কনসার্ট হলে এক জঙ্গি একথা আগেই জানিয়েছিল বলে দাবি করেছিলেন এক প্রত্যক্ষদর্শী।
ফ্রান্সের স্টেডে ডে ফঁস স্টেডিয়ামের পাশে দুটি বোমা বিস্ফোরণ হয়। সেই সময় জার্মানি- ফ্রান্স প্রীতি ম্যাচ চলছিল। সেই সময় স্টেডিয়ামে বসে খেলা দেখছিলেন ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাদঁ। বোমা বিস্ফোরণে বন্ধ হয়ে যায় খেলা। হুড়োহুড়ি পড়ে যায় স্টেডিয়ামের ভেতর। কোনক্রমে প্রেসিডেন্ট ফাঁসোয়া ওলাদঁ কে স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে করে বের করে আনা হয়।
আইফেল টাওয়ারের শহরের সঙ্গে দেশের বাণিজ্যনগরীকে মিলিয়ে দিল হৃদয়হীন সন্ত্রাস। বিভিন্ন জায়গায় একযোগে পর পর হামলায় এবার রক্তাক্ত হল প্যারিস। ফরম্যাটটা একই। এক জায়গায় গুলির লড়াই শুরু হওয়ার পরই খবর আসছে অন্য জায়গায় বিস্ফোরণের। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আরেক জায়গায় জঙ্গিদের হাতে পণবন্দী হচ্ছেন নিরপরাধ বহুমানুষ। হোটেল তাজ, ট্রাইড্যান্টে মানুষ যখন পণবন্দী তখনই গুলির লড়াইয়ে রক্তাক্ত হচ্ছে নরিম্যান হাউস, সিএসকে টার্মিনাল। ছাব্বিশ এগারোর মুম্বই হামলার সেই হিংসার ফর্ম্যাটকেই মনে করিয়ে দিল এবারের প্যারিসের জঙ্গি হামলা।
প্যারিসের জঙ্গি হামলার কড়া নিন্দা করলেন বাবুল সুপ্রিয়। ওই হামলার পরই ভারত ফ্রান্সের মানুষের পাশে আছে বলে জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ঐক্যবদ্ধ ভাবেই এই সন্ত্রাসের মোকাবিলা সম্ভব বলে জানান বাবুল সুপ্রিয়ও।