পরমাণুর তেজস্ক্রিয়তাকে পরোয়া না করেই জীবজন্তুর সঙ্গে ঘর বেঁধেছেন জাপানের সাকামোটা
পরমাণু কেন্দ্রর তেজস্ক্রিয়তাকে পরোয়া না করেই একা জীবজন্তু রক্ষা করে চলেছেন জাপানের কেইগো সাকামোটো। ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু কেন্দ্র থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটি এলাকায় প্রায় ৫০০ জীবজন্তুকে একা শুশ্রসা করে চলেছেন তিনি। কোনও প্রতিবন্ধকতাই দমাতে পারেনি তাঁকে। অবলা জীবজন্তুদের জন্য এখনও লড়ে যাচ্ছেন সাকামোটো।
পরমাণু কেন্দ্রর তেজস্ক্রিয়তাকে পরোয়া না করেই একা জীবজন্তু রক্ষা করে চলেছেন জাপানের কেইগো সাকামোটো। ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু কেন্দ্র থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটি এলাকায় প্রায় ৫০০ জীবজন্তুকে একা শুশ্রসা করে চলেছেন তিনি। কোনও প্রতিবন্ধকতাই দমাতে পারেনি তাঁকে। অবলা জীবজন্তুদের জন্য এখনও লড়ে যাচ্ছেন সাকামোটো।
২০১১-র মার্চে সুনামির পরই বন্ধ করে দেওয়া হয় জাপানের ফুকুশিমা দাইচি পরমাণু কেন্দ্র। এরপর থেকেই কার্যত জনমানব শূন্য ওই এলাকা। গত ২ বছরে যাঁরাই গিয়েছেন ওই এলাকায়। বেশিরভাগই রাত কাটাননি। কিন্তু এইসব এলাকার অবলা জীবরা। যারা মুখ ফুটে নিজেদের দুর্দশার কথা বলতে পারে না। তাঁদের জন্যই একা রয়ে গিয়েছেন৫৮ বছরের কেইগো সাকামোটো।
পরমাণু কেন্দ্র থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটি এলাকায় এই সব দুস্থ পশুদের জন্য পরিচর্যার ব্যবস্থা করেছেন তিনি। বর্তমানে প্রায় ৫০০ জীবজন্তু পরিচর্যা করছেন সাকামোটো। রয়েছে মুরগি, খরগোশ, ছাগল, কুকুর সহ অন্যান্য জীবজন্তু। সুনামির পর পরমাণু কেন্দ্র ক্ষতিগ্রস্থ হয়। তা থেকে ছড়ানো দূষণ আটকাতে এরপরই ওই কেন্দ্রের আশেপাশের সব রাস্তা বন্ধ করে দেয় সরকার। আটকে পড়েন সাকামোটো। সেই সময় এই সব পশুদের খাবার জোগার করতে রীতিমতন বেগ পেতে হয় তাঁকে। কিন্তু এরপর থেকেই সাকামোটো প্রতিকূল পরিস্থিতি তে সবকিছু খাওয়ার তালিম দিয়েছেন তাঁর পোষ্যদের। হাজারো প্রতিকূলতার মধ্যেই এই জীবগুলোকেই বাঁচিয়ে রাখটাই এখন সাকামোটোর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ। পোষ্যদের মৃত্যু অনেক ক্ষেত্রেই হারের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে সাকামোটোকে। তবে সাময়িক সেই ধাক্কা কাটিয়ে এখনও দাঁতে দাঁত চেপে লড়ে যাচ্ছেন সাকামোটো।