Kenya | Fuel From human waste: মল থেকেই জ্বালানি, তাক লাগিয়ে এগিয়ে কেনিয়া
Kenya | Fuel From human waste: মল থেকে মাসে ১০০ টন কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। রান্না-সহ অন্য অনেক কাজে ব্যবহার হয় ওই জ্বালানী। ধোঁয়া হয় না। আগুনও থাকে অনেকক্ষণ
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিকল্প জ্বালানির সন্ধানে নিরন্তর বিপুল টাকা খরচ করছে বহু দেশ। কারণ দ্রুত ফুরিয়ে আসছে ফসিল ফুয়েল। কোথাও সৌর শক্তিকে ব্যবহার করে তৈরি হচ্ছে বিদ্যুত্, কোথাও অন্য কোনও ভাবে। এক্ষেত্রে গোটা দুনিয়াকে তাক লাগিয়ে দিল কেনিয়া। মানুষের মল থেকে তারা তৈরি করে ফেলল জ্বালানি। কারণ যতদিন মানুষ থাকবে ততদিন যোগান থাকবে মলের। সেই মনুষ্য মল থেকে জ্বালানী তৈরি করেছে কেনিয়ার সংস্থা স্যানিভেশন। মল থেকে ক্ষতিকারণ প্যাথোজেন সরিয়ে তাকে কাঠকয়লায় রূপান্তরিত করা হয়।
আরও পড়ুন-সুপ্রিম কোর্টে পরীক্ষা হল ব্যালট, বিজেপির মেয়রকে হঠিয়ে জয়ী ঘোষণা আপ প্রার্থীকে
কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবি থেকে প্রায় একশো কিলোমিটার দূরে তাদের প্ল্যান্ট চালু করেছে স্যানিভেশন। সেখানে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কোম্পানির কর্মীরা ট্যাঙ্কারে করে তুলে আনছেন মল। তারপর সেই মল থেকে আলাদা করা হচ্ছে ক্ষতিকারক জিনিস। কোম্পানির এক ট্রাকচালক সংবাদমাধ্যমে বলেন, কাজটা বেশ শক্ত বলে মনে হয়েছিল। পরে দেখা গেল সেরকম একেবারেই নয়। দেখা গেল কোনও ক্ষতিকর ধোঁয়ার সৃষ্টি হয় না। মল থেকে যে কয়লা তৈরি করা হয় তাতে কার্বন মনো অক্সাইড নেই।
বর্তমানে ২০ হাজার লিটার তরল মল তুলে আনে স্যানিভেশন। এলাকার মানুষজনকে টয়লেটও তৈরি করে দিয়েছে কোম্পানি। এতে খুশি এলাকার মানুষজন। যে বর্জ্য সংগ্রন না করলে তার তরল মাটির তলায় জলের লেয়ারে মিশে যেত তা উদ্ধার করার সরকারও সন্তুষ্ট। পাশপাশি এই প্ল্যান্টের জন্য তৈরি হচ্ছে কর্ম সংস্থানও।
কীভাবে ব্যবহার হয় ওই মল থেকে তৈরি কয়লা? স্যানিভেশন সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, মল থেকে মাসে ১০০ টন কয়লা তৈরি করা হচ্ছে। রান্না-সহ অন্য অনেক কাজে ব্যবহার হয় ওই জ্বালানী। ধোঁয়া হয় না। আগুনও থাকে অনেকক্ষণ। আগে কাঠ বা কয়লা ব্যবহার করা হত। নতুন এই জ্বালানী এসে যাওয়ায় হোটেল, রেস্তঁরাতেও এখন তা ব্য়বহার হচ্ছে।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)