বুধে ভারতের পা মঙ্গলে, প্রথম চেষ্টাতেই মঙ্গল জয়ের রেকর্ডের প্রহর গণনা শুরু
এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আগামী কাল সকাল সাতটা বেজে সতের মিনিট বত্রিশ সেকেন্ডে লালগ্রহের কক্ষপথে পৌছে যাবে মঙ্গলযান। চিন পারেনি। প্রথম এশিয় প্রতিনিধি হিসেবে মঙ্গলের কক্ষে পৌছবে ইসরোর মঙ্গলযান। প্রথম মঙ্গল অভিযানে আজ পর্যন্ত কোনও দেশই সাফল্য পায়নি। ফলে একের পর এক রেকর্ড গড়ার হাতছানি ইসরোর সামনে।
ওয়েব ডেস্ক: এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। আগামী কাল সকাল ৭টা ১৭ মিনিট ৩২ সেকেন্ডে লালগ্রহের কক্ষপথে পৌছে যাবে মঙ্গলযান। চিন পারেনি। প্রথম এশিয় প্রতিনিধি হিসেবে মঙ্গলের কক্ষে পৌছবে ইসরোর মঙ্গলযান। প্রথম মঙ্গল অভিযানে আজ পর্যন্ত কোনও দেশই সাফল্য পায়নি। ফলে একের পর এক রেকর্ড গড়ার হাতছানি ইসরোর সামনে।
বুধের উষায় মঙ্গলের কক্ষে পা রাখছে ভারতের বিজ্ঞানীদের তৈরি মঙ্গলযান। প্রায় ৩০০ দিন ঘুমিয়ে থাকার পর সোমবার পরীক্ষামূলকভাবে বিজ্ঞানীরা চালু করেন মঙ্গলযানের লিকুইড বুধেই মঙ্গলে পা দিচ্ছে মঙ্গলযান, ইতিহাসের প্রহরা গণনা শুরু
অ্যাপোজি মোটর বা ল্যাম। এখন পর্যন্ত পূর্বনির্ধারিত গণনা মেনেই চলছে মঙ্গলযান। যানের গতি কমানোর জন্য বুধবার সকালে চালু করা হবে ল্যাম। কারণ যানের গতি বেশি থাকলে মঙ্গলের মাধ্যাকর্ষণের বাইরে চলে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। গতি কমিয়ে ঠিক ভাবে মঙ্গলযানকে কক্ষে স্থাপন করাই এখন ইসরোর কাছে চ্যালেঞ্জ।
ইসরোর চ্যালেঞ্জ কক্ষপথে স্থাপনের সময় মঙ্গলযানের গতিবেগ প্রতি সেকেন্ডে 22 কিলোমিটার থেকে কমিয়ে ৪.৪ কিলোমিটার করা হবে।
মঙ্গলের উপবৃত্তাকার কক্ষপথের আওতায় তলে আসার পাঁচ মিনিট পর চালু করা হবে ল্যাম। ল্যাম ছাড়াও আটটি থ্রাস্টার চালু করা হবে।
ল্যাম চালু হওয়ার ঠিক আগে মঙ্গলযানের অভিমুখ শেষবারের জন্য বদল করা হবে। গতি কমতে থাকায় মঙ্গলের মাধ্যাকর্ষণের টানে লাল গ্রহের কক্ষে ঢুকে পড়বে মঙ্গলযান
সকাল ৭.১৭মিনিট থেকে ২৪ সেকেন্ড পর্যন্ত চালু থাকবে ল্যাম।
এ পর্যন্ত ৫১টি অভিযান হয়েছে মঙ্গলে। যার মধ্যে সফল হয়েছে মাত্র ২১টি। আমেরিকা, রাশিয়া, ইউরোপিয়ান মহাকাশ গবেষণা সংস্থা এখনও পর্যন্ত মঙ্গলে সফল অভিযান করতে পেরেছে। তবে প্রথমবারে কেউই সফল হয়নি।
কাজেই বুধবারের অভিযান সফল হলে একইসঙ্গে সাফল্যের বেশ কয়েকটি মাইলস্টোন ছুঁয়ে ফেলবেন ইসরো বিজ্ঞানীরা।
যতক্ষণ ল্যাম ও থ্রাস্টার চালু থাকবে, ততক্ষণ পৃথিবীর সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকবে মঙ্গলযানের। যানের গতি নির্ধারিত বেগে পৌছলে বন্ধ হয়ে যাবে ইঞ্জিন। সুবিধাজনক অবস্থানে পৌছনোর পর ফের মঙ্গলযানের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি হবে ইসরোর। প্রথম দিনেই মার্স কালার ক্যামেরা চালু করে ছবি পাঠাবে মঙ্গলযান।
২০১৩ সালের পাঁচই নভেম্বর। শ্রীহরিরকোটার সতীশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার থেকে পিএসএলভি সি টোয়েন্টি ফাইভে চেপে মঙ্গলের পথে রওনা দিয়েছিল ভারতের মঙ্গলযান। তার পর থেকে আশা আর আশঙ্কার দোলাচলে প্রতিটা মুহূর্ত কেটেছে ইসরোর বিজ্ঞানীদের। এখন শুধু বুধবার সকালের অপেক্ষা। যখন লালগ্রহের কক্ষে পৌছে যাবে মঙ্গলযান। মহাকাশ গবেষণায় তৈরি হবে নতুন ইতিহাস।