পাথর দেখে মঙ্গলে জলের ধারা আবিষ্কার করল কিউরিওসিটি

মঙ্গলগ্রহে জলের অস্তিত্বের প্রমাণ খুঁজে পেল নাসার মহাকাশযান কিউরিওসিটি। বৃহস্পতিবার নাসার তরফে দাবি করা হয়েছে, কিউরিওসিটি মঙ্গলগ্রহের যেখানে অবতরণ করেছে সেই এলাকা দিয়ে একসময় বয়ে যেত জলের ধারা। গত ৬ অগাস্ট মঙ্গলের গেল ক্রেটার গহ্বরে অবতরণ করে কিউরিওসিটি।

Updated By: Sep 28, 2012, 04:18 PM IST

মঙ্গলগ্রহে জলের অস্তিত্বের প্রমাণ খুঁজে পেল নাসার মহাকাশযান কিউরিওসিটি। বৃহস্পতিবার নাসার তরফে দাবি করা হয়েছে, কিউরিওসিটি মঙ্গলগ্রহের যেখানে অবতরণ করেছে সেই এলাকা দিয়ে একসময় বয়ে যেত জলের ধারা। গত ৬ অগাস্ট মঙ্গলের গেল ক্রেটার গহ্বরে অবতরণ করে কিউরিওসিটি। ক্রেটারের উত্তরদিকে মাউন্ট শার্প এলাকায় একটি পাথরের খণ্ডের ছবি কিউরিওসিটি মারফত পৃথিবীতে পৌঁছনোর পরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, ওই পাথরখণ্ডের আকার ও স্তরবিন্যাস স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, তার ওপর দিয়ে একসময় জলের ধারা বয়ে যেত। বৃহস্পতিবার সেই পাথরখণ্ডের ছবিও প্রকাশ করা হয়েছে নাসার তরফে। প্রাথমিকভাবে বিজ্ঞানীদের অনুমান, হাঁটু গভীরতার জলের ধারা বয়ে যেত ওই পাথরের ওপর দিয়ে। তবে পাথরটির রাসায়নিক বিশ্লেষণ এখনও করা বাকি।
গত ৬ই অগাস্ট মঙ্গলের গেল ক্রেটার গহ্বরে অবতরণ করেছে কিউরিওসিটি। ক্রেটারের উত্তরদিকে মাউন্ট শার্প এলাকায় একটি পাথরের খণ্ডের ছবি কিউরিওসিটি মারফত পৃথিবীতে পৌঁছনোর পরেই উত্তেজিত হয়ে পড়েছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। তাঁদের দাবি, ওই পাথরখণ্ডের আকার ও স্তরবিন্যাস স্পষ্ট ইঙ্গিত দিচ্ছে, তার ওপর দিয়ে একসময় জলের ধারা বয়ে যেত। নাসার বিজ্ঞানী রেবেকা উইলিয়ামস জানিয়েছেন, পাথরখণ্ডগুলি যা দেখা গিয়েছে, তা আকারে গোলাকার। একটি আকারে বেশ বড়ও। তাই বাতাসে স্থানচ্যূত হওয়ার আশঙ্কা নেই। যা দেখে বিজ্ঞানীদের সিদ্ধান্ত, এগুলির আকার জলস্রোতের ফলেই এমন হয়েছে।
নাসার আরেক বিজ্ঞানী জন গ্রটজিনার বলেন, "আমরা আরও গবেষণা চালাব। আরও কয়েকটি পাথরের ছবি খুঁটিয়ে দেখব। আমরা তথ্য জোগারের চেষ্টা করব। ছবি পর্যবেক্ষণের প্রাথমিক স্তর থেকে একধাপ এগিয়ে এবার আমরা রাসায়নিক বিশ্লেষণের পথে যাব। এই জলে আণুবীক্ষণিক জীবের অস্তিত্বের প্রমাণ খোঁজার চেষ্টা করা হবে"। বৃহস্পতিবার সেই পাথরখণ্ডের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে নাসার তরফে। ছবিগুলি পর্যবেক্ষণ করেই বিজ্ঞানীরা এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন।

.