Thailand mass Shooting: চাইল্ডকেয়ার সেন্টারে নির্বিচার গুলি প্রাক্তন পুলিসকর্মীর, ২২ শিশু-সহ হত ৩৪
থাইল্যান্ড পুলিসের দাবি, নং বুয়া লাম্পুতে একটি চাইল্ডকেয়ার সেন্টারে ওই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। হামলাকারী ওই চাইল্ডকেয়ার সেন্টারে ঢুকে ছুরি শিশুদের উপরে হামলা চালায়। শুধু তাই নয় নির্বিচার গুলি চালিয়ে দেয়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ভয়ঙ্কর! উত্তরপূর্ব থাইল্যান্ডের একটি চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে ঢুকে নির্বিচার গুলি চালিয়ে দিল এক প্রাক্তন পুলিস কর্মী। ওই ঘটনায় এখনওপর্যন্ত ৩৪ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে। মৃতদের মধ্যে রয়েছে ২২ শিশু ও চাইল্ডকেয়ার সেন্টারের ১৪ কর্মী। স্থানীয় পুলিস সূত্রে সংবাদমাধ্য়ণের খবর, হামলাকারী ওই প্রাক্তন পুলিস কর্মীর নাম পানায়া কামরাব। গুলি চালনার পর সে একটা সাদা পিকআপ ভ্যানে চড়ে পালিয়ে গিয়েছে। তবে থাইল্য়ান্ডের একটি সংবাদমাধ্যমের খবর, ঘরে ফিরে ওই ঘাতক পুলিস কর্মী নিজের স্ত্রী ও সন্তানকে মেরে আত্মঘাতী হয়।
থাইল্যান্ড পুলিসের দাবি, নং বুয়া লাম্পুতে একটি চাইল্ডকেয়ার সেন্টারে ওই ভয়ঙ্কর ঘটনা ঘটেছে। লাঞ্চের সময়ে হামলাকারী ওই চাইল্ডকেয়ার সেন্টারে ঢুকে ছুরি শিশুদের উপরে হামলা চালায়। শুধু তাই নয় নির্বিচার গুলি চালিয়ে দেয়। কেন এমন হামলা তা এখনও জানা যাচ্ছে না। ভয়ঙ্কর বিষয় হল, গুলি চালিয়ে হত্যার পর মৃত্যু নিশ্চিত করতে সে ছুরি দিয়েও আঘাত করে।
সূত্রের খবর, চাইল্ড কেয়ার সেন্টারে ঢুকে ওই আততায়ী প্রথমে এক শিক্ষক সহ ৫ জনকে গুলি করে। এক শিক্ষিকা জানিয়েছেন, প্রথম মনে হয়েছিল কোনও বাজি ফাটছে। পরে দেখি বন্দুক হাতে ওই হামলাকারী।
উল্লেখ্য, থাইল্যান্ডে সাধারণ মানুষের হাতে বেআইনি বন্দুক থাকার হার ওই অঞ্চলের অন্যান্য দেশের থেকে অনেকটাই বেশি। কারণ থাইল্য়ান্ডে অস্ত্র চোরাচালান খুবই সহজ বিষয়। কিন্তু দেশটিকে এরকম গণহত্যা আগে খুব বেশি হয়নি। তবে ২০২০ সালে গুলি চালিয়ে ২০ জনকে মেরে ফলে এক সেনাকর্মী।