আন্টার্কটিকায় বরফের ফাটল, বদলে যাচ্ছে জলবায়ু

ওয়েডডেল সমুদ্রে ভাসমান বরফের টুকরো আন্টার্কটিকার চারপাশে ঘুরপাক খেতে থাকবে। এর আগেও এমন বহু হিমশৈল তৈরি হয়েছে

Updated By: Feb 27, 2019, 05:46 PM IST
আন্টার্কটিকায় বরফের ফাটল, বদলে যাচ্ছে জলবায়ু
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: আন্টার্কটিকা নিয়ে কত গল্প। কত রহস্য। যতদূর চোখ যায় শুধু বরফ আর বরফ। বিশাল সব হিমবাহ ছড়িয়ে রয়েছে বরফের ধূ ধূ প্রান্তরে। সমুদ্রে ভাসছে কত হিমশৈল। এবার সেই বরফরাজ্যেই তুমুল হইচই পড়ে গেছে। বরফের মাঝে বিশাল এক ফাটল দেখা দিয়েছে অনেক আগেই। সেই ফাটল ক্রমশই এগিয়ে আসছে।

এখন ফাটলের দুটি দিকের দুটি অংশের দূরত্ব প্রায় ২.৫ মাইল। ক্রমেই এগিয়ে আসছে ফাটল। যখন ফাটলের দুদিকের অংশ একদম কাছাকাছি চলে আসবে, তখন সাঙ্ঘাতিক কাণ্ড ঘটে যাবে। নিউ ইয়র্ক শহরের দ্বিগুণ আয়তনের বরফের টুকরো ভেঙে গিয়ে সমুদ্রে ভেসে পড়বে।

আরও পড়ুন- জঙ্গি দমনে পাকিস্তানকে ‘অর্থবহ পদক্ষেপ’ করার হুঁশিয়ারি আমেরিকার

ওয়েডডেল সমুদ্রে ভাসমান বরফের টুকরো আন্টার্কটিকার চারপাশে ঘুরপাক খেতে থাকবে। এর আগেও এমন বহু হিমশৈল তৈরি হয়েছে। তবে, আয়তনের দিক থেকে এই টুকরো অবশ্যই তাত্পর্যপূর্ণ। কারণ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব পড়বে এই ভাসমান টুকরোয়। ৬০ বছরের বেশি সময় ধরে আন্টার্কটিকায় গবেষণা চলছে। যত বেশি বরফের টুকরো জলে ভাসবে, ততই গবেষণায় ব্যাঘাত ঘটবে। ১৯৫৬ সাল থেকে আন্টার্কটিকায় হ্যালি গবেষণা কেন্দ্রে ইংরেজ গবেষকরা গবেষণা চালাচ্ছেন। ভূবিজ্ঞান, হিমবাহবিজ্ঞান এবং আবহাওয়া নিয়েই মূলত এই গবেষণা।

আরও পড়ুন- সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের খবরে ‘তাসের ঘরের’ মতো ধসল পাক শেয়ার বাজার

তবে বরফের টুকরো ভেঙে যাওয়ার কারণে বার বার নতুন করে তৈরি করতে হয়েছে হ্যালি গবেষণা কেন্দ্র। ২০১৬ সালে তৈরি হয় এমনই এক ফাটল। যার নাম দেওয়া হয়েছিল হ্যালোইন ক্র্যাক। যে ফাটলটি দেখা দেয় হ্যালি গবেষণা কেন্দ্রের প্রায় ১৭ কিলোমিটার উত্তরে। ক্রমশ ফাটলটি এগোতে থাকে পূর্ব দিকে। নাসার ভবিষ্যদ্বাণী, যখন এই হিমশৈল তৈরি হবে, তখন গত ১০০ বছরে এটিই হবে বৃহত্তম হিমশৈল। 

.