ভাষা দিবসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশের চকবাজারে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ...

বুধবার বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী রাত ১০টা ১০ মিনিটে নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুরিহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবনে আগুন লাগে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে।

Updated By: Feb 21, 2019, 08:53 AM IST
ভাষা দিবসে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে বাংলাদেশের চকবাজারে মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে ...

নিজস্ব প্রতিবেদন : একদিকে যখন অমর একুশের শোক-স্মরণে রাতভর ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে লাখো মানুষের সমাগম অন্যদিকে বিদ্ধংসী অগ্নিকাণ্ডে কমপক্ষে ৬৯ জনের(সকাল ৮টা পর্যন্ত) মৃত্যুর ঘটনা ঢাকার চকবাজারে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্রমশ বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। বুধবার রাত ১০টার পর আগুন লাগে চকবাজারের একটি আবাসিক বহুতলে। বহুতলটির নিচেই ছিল একটি রাসায়নিক  গুদাম। পরের পর গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে এলাকা। দমকলের ৩৭ ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে কাজ করছে। সকালের দিকে হেলিকপ্টারে করে ওপর থেকে জল ছেটানোর পর আগুন আর দেখা যাচ্ছে না। এরপর আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বুধবার বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী রাত ১০টা ১০ মিনিটে নন্দকুমার দত্ত সড়কের চুরিহাট্টা মসজিদ গলির রাজ্জাক ভবনে আগুন লাগে বলে প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে। সরু গলি রাস্তা হওয়ার কারণে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। চকবাজার থানার সামনে গাড়ি রেখে সেখান থেকেই পাইপের মাধ্যমে জল দেওয়া হয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশের ফায়ার সার্ভিস। আগুন লাগার পর রাতের দিকে পাশের প্রায় চারটি বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। চকবাজার এলাকার গ্যাসলাইন থেকেও ওই সময় আগুন বের হতে দেখা যায়। অগ্নিকাণ্ডের পর ওই এলাকার বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। রাজ্জাক ভবনের নিচের তলায় রাসায়নিক কারখানা ছিল। সেখান থেকেই মাঝে মাঝে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আগুন ক্রমশ ছড়িয়ে পড়ে এবং বেশ কিছু রেস্তোরাঁয় গ্যাসের সিলিন্ডার সিলিন্ডারেও বিস্ফোরণ হতে থাকে। এখনও নিখোঁজ বহু মানুষ। অগ্নিকাণ্ডে আহত ও পুড়ে যাওয়া রোগীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজে আসছেন চিকিত্সার জন্য। হাসপাতালে পরপর জমছে মৃতদেহের সারি। স্বজন হারানোর কান্নায় ভরে উঠেছে রাজধানীর আকাশ।

তথ্যসূত্র: প্রথম আলো, বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম

আরও পড়ুন - ভারতের মন্দিরে বাজবে না ঘণ্টা, মুসলিমদের দুর্গ পাকিস্তান, হুঁশিয়ারি পাক রেলমন্ত্রীর

.