মায়ানমারের কৃষক পরিবারের মুখে ফোটাল কলকাতা

দিনদশেকের হয়রানির শেষে অবশেষে আশার আলো দেখল মায়ানমারের কৃষক পরিবার। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বাইশ বছরের সাইসাং মন্তকে নিয়ে কলকাতায় আসে তাঁর মা-বাবা। তার দুটি কিডনিই বিকল। সাইসাংকে কিডনি দিতে রাজি হয় তার বৈমাত্রেয় দাদা। কিন্তু দেখা দেয় আইনি জটিলতা। এই নিয়েই দিনকয়েক ধরে চলছিল টানাপোড়েন। অবশেষে আজ আইনি জটিলতার অবসান হয়েছে। এতেই খুশি সুদূর মায়ানমার থেকে আসা পরিবারটি। 

Updated By: Oct 17, 2012, 10:23 PM IST

দিনদশেকের হয়রানির শেষে অবশেষে আশার আলো দেখল মায়ানমারের কৃষক পরিবার। কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য বাইশ বছরের সাইসাং মন্তকে নিয়ে কলকাতায় আসে তাঁর মা-বাবা। তার দুটি কিডনিই বিকল। সাইসাংকে কিডনি দিতে রাজি হয় তার বৈমাত্রেয় দাদা। কিন্তু দেখা দেয় আইনি জটিলতা। এই নিয়েই দিনকয়েক ধরে চলছিল টানাপোড়েন। অবশেষে আজ আইনি জটিলতার অবসান হয়েছে। এতেই খুশি সুদূর মায়ানমার থেকে আসা পরিবারটি। 
ছেলে সাইসাং মন্তের দুটি কিডনিই বিকল। ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে দিন দশেক আগে মায়ানমারের চাইতোং প্রদেশ থেকে কলকাতায় আসে এক পরিবার। কলকাতায় কিডনি প্রতিস্থাপনের খরচ অপেক্ষাকৃত কম জেনেই তাদের কলকাতায় পা রাখা।  বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে অস্ত্রোপচারের বিষয়ে কথাবার্তাও এগোয়।  বাইশ বছরের সাইসাং মন্তকে একটি কিডনি দিতে রাজি হয় বৈমাত্রেয় দাদা আউ জাউ ওড। কিন্তু গণ্ডগোল দেখা দেয় অন্য জায়গায়। আইনের বেড়াজালে বাধা পড়ে যান তারা। 
অঙ্গ প্রতিস্থাপন আইন অনুযায়ী কিডনির দাতা  রক্তের সম্পর্কের কেউ  না হলে আদালতে হলফনামা পেশ করতে হয়। অনিশ্চয়তা দেখা দেয় বাইশ বছরের যুবকের ভবিষ্যত নিয়েও। বুধবার আলিপুর আদালতের দ্বারস্থ হয় মায়ানমার থেকে আসা এই পরিবার। হলফনামা দাখিল  করা হয়। আদালত জানায় স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি নিয়ে কিডনি প্রতিস্থাপনে কোনও জটিলতা নেই। আদালতের এই নির্দেশ পেয়েই আশার আলো দেখছে বছর ২২-এর সাইসাং মন্ত সহ তার পরিবার। স্বাস্থ্য দফতরের অনুমতি শুধু সময়ের অপেক্ষা।
 

.