India The Modi Question: তথ্যচিত্র নিয়ে চাপ বাড়ছে সুনক সরকারের উপরে! বিবিসি নিয়ে মুখ খুলল ব্রিটিশ সরকার
বিবিসির ওই তথ্যচিত্রটির মাধ্য়মে অপপ্রচার করা হচ্ছে এই যুক্তিতে সেটি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। ইউটিউব ও ট্যুইটার থেকে এটিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এভাবে একটি তথ্য়চিত্র নিষিদ্ধ করা যায় না, এই যুক্তি দেখিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: প্রায় দু'দশক পুরনো ঘটনা খুঁড়ে বের করেছে বিবিসি। তাতেই যথেষ্ট অস্বস্তিতে কেন্দ্র। ২০০২ সালের গুজরাট হিংসা ও তত্কালীন মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ভূমিকার উপরে তৈরি ওই তথ্যচিত্র বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে দেখছেন পড়ুয়ারা। এতেই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে প্রবল সংঘাত তৈরি হচ্ছে দেশের বিভিন্ন জায়গায়। ভারতে অলিখিতভাবে নিষিদ্ধ হয়েছে ওই তথ্যচিত্র। এনিয়ে এবার তাদের অবস্থান জানিয়ে দিল ব্রিটিশ সরকার।
আরও পড়ুন-উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় গড়াল হাতাহাতিতে! শুভমন-ঈশানের হোটেল রুমের ভিডিয়ো ভাইরাল
বিবিসির তৈরি তথ্যচিত্র নিয়ে বিবিসির পাশাপাশি চাপ বাড়ছিল ঋষি সুনক সরকারের উপরেও। ব্রিটেনে বসবাসকারী ভারতীয়দের একাংশ বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন বিবিসির বিরুদ্ধে। এর মধ্যেই ব্রিটিশ পার্লামেন্ট বিদেশ সচিব এক বিবৃতিতে বলেন, ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতিতে প্রয়াস চালিয়ে যাবে ব্রিটেন।
সরকার এমন কথা বললেও বিবিসির কী হবে? এই প্রশ্নটাই বড় হয়ে দেখা দিচ্ছিল সেদেশে। দিল্লিতে কৃষক বিক্ষোভের সময়ে তোলপাড় হয় ব্রিটিশ সংসদ। সেখানকার ভারতীয় বংশোদ্ভূত সাংসদরা দিল্লিতে অবস্থানকারী কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর দাবি করে বসেন। এবার তা না হলেও মোদীকে নিয়ে বিবিসির তথ্যচিত্র নিয়ে চাপ বাড়ছিল সরকারের উপরে। এবার এনিয়ে মুখ খুলল ব্রিটিশ সরকার। সুনক সরকারের তরফে জানিয়ে দেওয়া হল, সংবাদমাধ্যম কী সংবাদ পরিবেশন করবে সে ব্যাপারে তাদের স্বাধীনতা রয়েছে।
ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বলেন, বিবিসি স্বাধীন সংবাদমাধ্যম। তারা কী সংবাদ পরিবেশন করবে সে ব্য়াপারে তাদের স্বাধীনতা রয়েছে। তবে আমরা এও বলব ভারত আমাদের অত্যন্ত কাছের বন্ধু। ভারতের সঙ্গে সম্পর্কের উন্নতির জন্য সব চেষ্টাই করবে ব্রিটেন।
উল্লেখ্য, বিবিসির ওই তথ্যচিত্রটির মাধ্য়মে অপপ্রচার করা হচ্ছে এই যুক্তিতে সেটি নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র। ইউটিউব ও ট্যুইটার থেকে এটিকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এভাবে একটি তথ্য়চিত্র নিষিদ্ধ করা যায় না, এই যুক্তি দেখিয়ে একটি জনস্বার্থ মামলা হয়েছে সুপ্রিম কোর্টে। সেই মামলার শুনানি হবে আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি।