টাইটানিক স্মরণে `এমএস বালমোরাল`
সেই যাত্রাকে আবার নতুন করে দেখা। ফিরে যাওয়া ১০০ বছর আগে। অতলান্তিকের অতলে তলিয়ে যাওয়া প্রমোদতরণী টাইটানিককে স্মরণ করছে ইংল্যান্ড। ১৯১২-র ১০ এপ্রিল ১০ এপ্রিল। প্রিয়জনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে প্রমোদতরণী টাইটানিকে চেপে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন দেড় হাজারের বেশি যাত্রী।
সেই যাত্রাকে আবার নতুন করে দেখা। ফিরে যাওয়া ১০০ বছর আগে। অতলান্তিকের অতলে তলিয়ে যাওয়া প্রমোদতরণী টাইটানিককে স্মরণ করছে ইংল্যান্ড। ১৯১২-র ১০ এপ্রিল ১০ এপ্রিল। প্রিয়জনের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে প্রমোদতরণী টাইটানিকে চেপে নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন দেড় হাজারের বেশি যাত্রী। দক্ষিণ ইংল্যান্ডের সাউদাম্পটন থেকে। ২০১২-র ৮ এপ্রিল। সময় সরণি বেয়ে সেই একই পথে যাত্রা। যাত্রা স্মারক জাহাজ `এমএস বালমোরাল`-এর। শুধু বদলে গিয়েছে যাত্রীদের পরিচয়।
১৯১২-র ১৪ এপ্রিল, যাত্রার ৩ দিন পর, মধ্যরাতে মাঝ অতলান্তিকে একটি হিমশৈলের সঙ্গে ধাক্কা লাগে টাইটানিকের। বহু চেষ্টাতেও অনিবার্য পরিণাম আটকানো সম্ভব হয়নি। আস্তে আস্তে ডুবে যায় টাইটানিক। মৃত্যু হয় দেড় হাজারের বেশি মানুষের। রবিবার রওনা দেওয়া স্মারক জাহাজের যাত্রাপথ শেষ হবে সেই দুর্ঘটনাস্থলেই। রোমাঞ্চকর সফরের সাক্ষী থাকবেন টাইটানিক ট্র্যাজেডিতে প্রাণ হারানো এবং জীবিত সদস্যদের উত্তরাধিকারিরা। যাঁদের পূর্বপুরুষদের কেউ মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন, কেউ আবার নিজের জীবনের বিনিময়ে ফিরিয়ে দিয়েছেন অপরিচিতের প্রাণ। ১০০ বছর আগের সেই পরিবেশ ফিরিয়ে আনতে অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে এমএস বালমোরাল জাহাজের খাদ্যতালিকাও।
সে যুগের সুরের মূর্চ্ছনায় ডুব দিতে জাহাজটিতে আয়োজন করা হয়েছে `লাইভ ব্যান্ড পারফরম্যান্স`-এর। আয়োজন করা হয়েছে বিশেষ স্মরণ অনুষ্ঠানের। ১৪ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে শুরু হবে সেই অনুষ্ঠান। শেষ হবে ১৫ এপ্রিল রাত ২টো ২০ নাগাদ। সেই মুহূর্ত পর্যন্ত, যে মুহূর্তে চিরকালের মতো অতলান্তিকের অতলে তলিয়ে গিয়েছিল প্রমোদতরণী টাইটানিক।