ফের সংঘর্ষ লিবিয়ায়, বানি ওয়ালিদের দখল নিল গদ্দাফিপন্থীরা

লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত সামরিক একনায়ক কর্নেল মুয়াম্মর গদ্দাফির সমর্থকরা মঙ্গলবার রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বানি ওয়ালিদ শহরের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিয়েছে। এনটিসি পরিচালিত দূর্বল প্রশাসনকে নিষ্ক্রীয় করে তারা শহরের নানা গুরুত্বপূর্ণ ভবনে গদ্দাফি সরকারের আমলের সবুজ পতাকা উড়িয়ে দেয়।

Updated By: Jan 24, 2012, 07:28 PM IST

গদ্দাফি জমানার অবসানের পরও লিবিয়াবাসীর কাছে শান্তি এখনও দূর অস্ত! নয়া শাসকজোট ন্যাশনাল ট্রানজিশন্যাল কাউন্সিল (এনটিসি)-এর নেতাদের ক্রমবর্ধমান অন্তর্দ্বন্দ্বের পাশাপাশি গদ্দাফি সমর্থকদের ক্রমশ শক্তিবৃদ্ধি স্থায়ী শান্তির সম্ভাবনাকে সূদূর পরাহত করে তুলছে।
লিবিয়ার ক্ষমতাচ্যুত ও নিহত সামরিক একনায়ক কর্নেল মুয়াম্মর গদ্দাফির সমর্থকরা মঙ্গলবার রাজধানী ত্রিপোলির দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় বানি ওয়ালিদ শহরের নিয়ন্ত্রণ ছিনিয়ে নিয়েছে। এনটিসি পরিচালিত দূর্বল প্রশাসনকে নিষ্ক্রীয় করে তারা শহরের নানা গুরুত্বপূর্ণ ভবনে গদ্দাফি সরকারের আমলের সবুজ পতাকা উড়িয়ে দেয়। গত ২০ অক্টোবর নিজের জন্মশহর সির্তেতে এনটিসি যোদ্ধাদের হাতে মুয়াম্মর গদ্দাফি নিহত হওয়ার পর তাঁর সমর্থকরা বিপর্যস্ত হয়ে ছত্রভঙ্গ হয়ে পড়েছিল। কিন্তু এনটিসি নেতৃত্বের অন্তর্দ্বন্দ্ব এবং দূর্বলতার সুযোগে গদ্দাফি সমর্থকরা ফের সংগঠিত হয়ে মাথাচাড়া দিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এনটিসির একজন সেনা জানিয়েছেন, সোমবার প্রথমে ত্রিপোলি থেকে ২০০ কিলোমিটার দূরে বানি ওয়ালিদের কাছাকাছি অবস্থিত তাদের সেনা ছাউনিতে গদ্দাফির সশস্ত্র সমর্থকরা হামলা করে। দ্রুত এনটিসি ছাউনির সেনাদের পরাস্ত করে শহরের নিয়ন্ত্রণ নেয় তারা। গদ্দাফি সমর্থকদের আক্রমণে ৪ জন এনটিসি যোদ্ধা নিহত হন। আহত হন ২৫ জন। প্রাণ বাঁচাতে বানি ওয়ালিদ শহরের প্রশাসনিক প্রধান মুবারক-আল ফাতামি নিকটবর্তী মিসারতা শহরে পালিয়ে যান।
প্রবল অন্তর্বিরোধের কারণে গত সপ্তাহে এনটিসি জোটের উপপ্রধানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন আবদেল হাফিজ ঘোগা। বানি ওয়ালিদে হামলার পিছনে মুয়াম্মর গদ্দাফির এই প্রভাবশালী প্রাক্তন সহচরের ভূমিকা থাকতে পারে বলেও আশঙ্কা করছে এনটিসি-র একটি মহল।

.