Natural AC: উপায় থাকলে নাক না সিঁটকে মাটির বাড়িতে থাকুন, ন্যাচরাল এসি
দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় এক সময় প্রায় প্রতিটি ঘরই ছিল মাটির তৈরি। এখন গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ। গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতির কারণে মাটির ঘরের পরিবর্তে তৈরি হচ্ছে পাকা ঘর।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গ্রীষ্মের তীব্র গরমে প্রাণ ওষ্ঠাগত সাধারণ মানুষের। এই গরমে মাটির ঘর মানুষের জন্য প্রায় আশীর্বাদ। তীব্র গরমেও মাটির ঘরের থাকে ঠান্ডা। গরিব মানুষদের কাছে মাটির ঘরই প্রায় এসি।
দেশের প্রতিটি গ্রামেই প্রায় মাটির ঘর পাওয়া যেত। জীবনের মান উন্নত হওয়ার কারণে মাটির ঘরের কদর কমেছে। এই ধরনের ঘর গরমের সময় অত্যন্ত আরামদায়ক।
ঝড়-বৃষ্টি থেকে বাঁচার পাশাপাশি তীব্র গরম ও কনকনে শীতে থাকার জন্য আদর্শ মাটির ঘর। এই রকমের ঘরে মানুষের থাকার পাশাপাশি ধান-চাল রাখার জন্য গোলা হিসেবেও ব্যবহার করা হতো।
আরও পড়ুন: Pink Moon: পদ্মাপাড়ে রাতের আকাশে আচমকাই বিরাট গোলাপি চাঁদ! বিস্ময়...
দেখা গিয়েছে, বিভিন্ন এলাকায় এক সময় প্রায় প্রতিটি ঘরই ছিল মাটির তৈরি। এখন গ্রামে গ্রামে পৌঁছে গিয়েছে বিদ্যুৎ। গ্রামীণ অর্থনীতির উন্নতির কারণে মাটির ঘরের পরিবর্তে তৈরি হচ্ছে পাকা ঘর।
আগে মাটির ঘর তৈরি করতে প্রথমে এঁটেল বা আঠালো মাটির কাদা বানিয়ে দুই-তিন ফুট চওড়া করে দেয়াল তৈরি করা হতো। ১০ থেকে ১৫ ফুট উঁচু দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের সিলিং তৈরি করে তার উপর খড় অথবা টিনের ছাউনি দেওয়া হতো। এসব মাটির ঘর তৈরি করতে সময় লাগত দেড় থেকে দুই মাস।
আরও পড়ুন: Athens: সাহারায় শিহরন, এদিকে কমলা ধুলোমেঘে ঢাকল এথেন্স!
ভূমিকম্প বা বন্যা না হলে একটি মাটির বাড়ি বহুদিন স্থায়ী হয়। মাটির ঘরে দেয়ালে কাঠ বা বাঁশের শিলিং তৈরি করে তার ওপর খর বা টিনের ছাউনি দেওয়া হতো। মাটির বাড়িঘর অনেক সময় দোতলা পর্যন্ত করা হতো। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও বর্ষার সময়ে মাটির বাড়ির ক্ষতি হয় বলে আজকের যুগে গ্রামের মানুষ ইটের বাড়ি তৈরি করাচ্ছেন।
অনেকেই জানাচ্ছেন মাটির বাড়ি বসবাসের জন্য আরামদায়ক হলেও যুগের পরিবর্তনে বহু গ্রামের মানুষ ইটের বাড়ি তৈরি করছেন।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)