Bangladesh MP Murder: আগেও ২ বার খুনের চেষ্টা, তৃতীয়বার নৃশংসতায় নতুন মাত্রা যোগ করল আনোয়ারুলের খুনিরা
Bangladesh MP Murder: বাংলাদেশের এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে জানান, সীমান্তকেন্দ্রিক অবৈধ কারবারের বিরোধ থেকে হত্যাকাণ্ড হতে পারে। বড় অঙ্কের আর্থিক দ্বন্দ্বের জের ধরেই এ ছক কষা হয়
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বাংলাদেশের সাংসদ আনোয়ারুল আজিম আগে থেকেই টার্গেটে ছিলেন। তৃতীয়বার আর বাঁচতে পারলেন না। এমনটাই মনে করছে ঢাকা গোয়েন্দা পুলিস(ডিবি)। ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন আর রশিদ শনিবার বলেন, সাধারণ নির্বাচনের আগে ও এবছর জানুয়ারিতে আনোয়ারুকে খুনের ছক কষা হয়। কিন্তু সেই দুই পরিকল্পনাই ভেস্তে যায়। ফলে তৃতীয়বারের জন্য খুনের পরিকল্পনা করে খুনিরা। এবার একেবারে দেশের বাইরে।
আরও পড়ুন-কসাইয়ের বর্বরতা, ছাল ছাড়িয়ে ৮০ টুকরো করা হয় এমপি আনারকে!
তদন্তে উঠে আসছে, পেশায় কসাই জুবের ওরফে জিহাদকে মাত্র ৫০০০ টাকা দিয়ে মারাত্মক কাজ করিয়ে দেওয়া হয়। সে-ই আনোয়ারুলের চামড়া ছাড়িয়ে দেহ ৮০ টুকরো করে ফেলে। এরপর মাংস হাড় থেকে ছাড়িয়ে আলাদা করা হয়। পরে প্লাস্টিকের ব্যগে পুরে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। জিজ্ঞাসাবাদে জিহাদ স্বীকার করেছে, আনোয়ারুলকে খুন করার পর বনগাঁ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশ পালানোর ছক কষেছিল তারা। মুম্বই থেকে কসাই জিহাদকে কলকাতায় আনে মাস্টারমাইন্ড আখতারুজ্জামান। দুই মাস আগে কলকাতায় নিয়ে আসে সে। আখতারুজ্জামান পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। কলকাতা সিআইডি সূত্র জানায়, সন্দেহভাজন, পেশাদার কসাই জিহাদ হাওলাদার বাংলাদেশের খুলনা জেলার বারাকপুরের বাসিন্দা এবং অবৈধভাবে মুম্বইয়ে ছিল।
হারুন অর রশীদ বলেন, মূল পরিকল্পনা ছিল সংসদ সদস্যকে হত্যা করা। তবে এর আগে খুনিরা চেয়েছিল কলকাতার সেই ফ্ল্যাটে নিয়ে তাঁকে দুই দিন রেখে ব্ল্যাকমেল করে কিছু টাকা আদায় করতে। কিন্তু অতিরিক্ত চেতনানাশক প্রয়োগের কারণে চেতনা না-ফেরায় আগেই সংসদ সদস্যকে খুন করা হয়। এরপর খুনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা সংসদ সদস্যের মুঠোফোন নিয়ে বিভিন্ন স্থানে গিয়ে সবাইকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করে।
বাংলাদেশের এক শীর্ষ গোয়েন্দা কর্মকর্তা বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে জানান, সীমান্তকেন্দ্রিক অবৈধ কারবারের বিরোধ থেকে হত্যাকাণ্ড হতে পারে। বড় অঙ্কের আর্থিক দ্বন্দ্বের জের ধরেই এ ছক কষা হয়। তবে কে কার কাছে টাকা পাবেন– এটা নিশ্চিত হতে কাজ করছেন গোয়েন্দারা। সূত্রটি বলছে, বন্ধু শাহীনের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা পেতেন এমপি আজীম। ওই টাকা দীর্ঘদিন ধরে পরিশোধ করছিলেন না তিনি। ওই টাকা গায়েব করে দিতে হত্যার পরিকল্পনা হতে পারে। শোনা যাচ্ছে, প্রায় ২০০ কোটি টাকার সোনা নিয়েই শুরু দ্বন্দ্ব। স্বর্ণ কারবারের চালান নিয়ে বিরোধের জেরে এ নৃশংস হত্যাকাণ্ড।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)