করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সায় ভাল্লুকের পিত্ত ব্যবহার করছে চিন, মারাত্মক অভিযোগ
চিন সরকারের এমন মানসিকতা মানতে পারছেন না পশুপ্রেমীরা।
নিজস্ব প্রতিবেদন— বিজ্ঞানীদের একাংশ মনে করছে, চিনের উহানের যে বাজারে বিভিন্ন প্রাণীর মাংস বিক্রি হয় সেখান থেকেই করোনাভাইরাস ছড়াতে শুরু করেছিল। চিনের সব জায়গায় এখন যে কোনওরকম বন্য প্রাণী কেনা—বেচা বন্ধ হয়েছে। এমনকী উহানের সেই বাজারে অনেকদিন ধরে বন্ধ। এরই মাঝে চিনে করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিত্সায় চিন ভাল্লুকের পিত্ত ব্যবহার করছে বলে মারাত্মক অভিযোগ উঠেছে।
ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, Tan Re Qing নামের একটি ইনজেকশন করোনা রোগীদের সারিয়ে তুলতে ব্যবহার করছে চিন। সেই ইনজেকশনের ভাল্লুকের পিত্ত ব্যবহার করা হচ্ছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অবশ্য দাবি করেছে, করোনার চিকিত্সায় এখনও কোনও ওষুধ আবিষ্কার হয়নি। কিন্তু চিনের স্বাস্থ্য কমিশন গত ৪ মার্চ একটি তালিকায় জানিয়েছিল, করোনায় চিকিত্সায় ট্র্যাডিশনাল পদ্ধতিতে ভাল্লুকের পিত্ত ব্যবহার করা হয়।
আরে পড়ুন— সম্প্রীতির সুর! করোনা মোকাবিলায় চিনের সঙ্গে 'হাত মেলাচ্ছে' আমেরিকা?
চিনে সবরকম বন্য প্রাণী কেনা—বেচা ও তাদের মাংস বিক্রি বন্ধ। কিন্তু চিন সরকার নিজেই বন্য প্রাণীদের শরীরের অংশ ওষুধ তৈরির কাজে ব্যবহার করছে! চিন সরকারের এমন মানসিকতা মানতে পারছেন না পশুপ্রেমীরা। Environmental Investigation Agency-র হয়ে কাজ করেন অ্যারন হোয়াইট। তিনি জানিয়েছেন, চিন সরকারের এমন কাণ্ডের কথা তাঁরা জানতে পারেন চোরাশিকারিদের থেকে। যদিও Tan Re Qing বহুদিন ধরে ব্রংকাইটিস এবং আপার রেসপিরেটরি সংক্রমণের চিকিত্সায় ব্যবহার করা হয় বলে জানাচ্ছেন চিনের ট্র্যাডিশনাল চিকিত্সার সঙ্গে যুক্ত চিকিত্সকরা।