কুনুর কান্নায় কফিনবন্দি মাদিরার শেষকৃত্য যেন অমরগাঁথা
অনেক বেদনা, বুক চাপা আবেগ, চোখের কোণে বাসা বেধে থাকা দুঃখকে বুকে নিয়ে প্রিয় মাদিবাকে বিদায় জানাল দক্ষিণ আফ্রিকা। গোটা বিশ্বের চোখে আজ জল। বিশ্বনেতার শেষ বিদায়ে হাজির দেশ বিদেশের চার হাজার প্রতিনিধি।
-----------------
অনেক বেদনা, বুক চাপা আবেগ, চোখের কোণে বাসা বেধে থাকা দুঃখকে বুকে নিয়ে প্রিয় মাদিবাকে বিদায় জানাল দক্ষিণ আফ্রিকা। গোটা বিশ্বের চোখে আজ জল। বিশ্বনেতার শেষ বিদায়ে হাজির দেশ বিদেশের চার হাজার প্রতিনিধি।
এ যেন স্মৃতির সরণি বেয়ে হেঁটে চলা। ফিরে আসা নিজের গ্রামে। ফিরে এলেন। তবে অন্যভাবে। বায়ুসেনার বিমান নিয়ে এল তাঁর কফিনবন্দি দেহ। শনিবার সকালে দক্ষিণ আফ্রিকার কুনু গ্রামে পৌছয় নেলসন ম্যান্ডেলার দেহ। উপস্থিত ছিলেন মাদিবার পরিবারের সদস্যরা। থাকলেন আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সদস্যরা। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় হবে শেষকৃত্য। পুরোটাই হল জোসা উপজাতির রীতিনীতি মেনে।
আবেগে বেধে রাখতে না পেরে ম্যান্ডেলার শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে হাজির মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামাও। পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় কুনু গ্রামে সমাধিস্থ করা হয় প্রয়াত নেলসন ম্যান্ডেলাকে৷ বিদায়বেলায় ম্যান্ডেলার পরিবারের সঙ্গে কুনু গ্রামে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমা৷
কুনু গ্রামে শেষ বিদায়ের অনুষ্ঠানে সবার চোখে জল। এই কুনু গ্রামেই কাটে ম্যান্ডেলার শৈশব। এই গ্রাম থেকে ম্যান্ডেলা স্বপ্ন দেখা শুরু করেন এমন এক লড়াইয়ের, যা বিশ্ব ইতিহাসকে সমৃদ্ধ করল। ম্যান্ডেলার ইচ্ছা ছিল তাঁর মৃত্যু যেন এই কুনু গ্রামেই হয়৷ কিন্তু শেষপর্যন্ত তা আর হয়ে ওঠেনি৷
তবু, কোথায় যেন গ্রামের সেই ছেলেটিকে ফিরে পেল কুনু। তাই শোককে কোথায় যেন ছাপিয়ে গেল ফিরে পাওয়ার আকুলতা। রবিবার ঠিক এভাবেই শেষবেলায় মাদিবাকে বিদায় জানাল কুনু। গোটা দুনিয়া শুধু বুকচাপা দুঃখ নিয়ে সাক্ষী থাকল অমরগাঁথার।