লকডাউন চলছে! বিয়ে করা যাবে না, এখন বিবাহবিচ্ছেদও নয়, নির্দেশ প্রশাসনের
চার দেওয়ালে বদ্ধ থাকায় স্বামী—স্ত্রীর দাম্পত্য সম্পর্কের ফাটল স্পষ্ট হয়ে উঠছে। দুজনেই যেন দুজনের সঙ্গে এতটা সময় একসঙ্গে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে উঠছেন।
নিজস্ব প্রতিবেদন— মহামারির সময়। এই সময় বিয়ে! সে না হয় ঠিক আছে। কিন্তু তাই বলে বিবাহবিচ্ছেদেও নিষেধাজ্ঞা! হ্যাঁ, দুবাইয়ের আদালত এমনই নির্দেশ দিয়েছে। বিয়ে হোক বা বিবাহবিচ্ছেদ, একসঙ্গে বহু মানুষের সমাগম হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফলে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়। তাই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুবাইয়ের প্রশাসন। করোনার লকডাউনের মাঝে নতুন সম্পর্ক হওয়ার সম্ভাবনা কম। তবে পুরনো সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার ঘটনা ঘটছে নিরন্তর। চিনে যেমন করোনার প্রকোপে লকডাউন হওয়ায় বিবাহবিচ্ছেদের হার বেড়েছে বলে জানা গিয়েছিল।
একইরকম পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে দুবাইয়ে। চার দেওয়ালে বদ্ধ থাকায় স্বামী—স্ত্রীর দাম্পত্য সম্পর্কের ফাটল স্পষ্ট হয়ে উঠছে। দুজনেই যেন দুজনের সঙ্গে এতটা সময় একসঙ্গে থাকতে থাকতে বিরক্ত হয়ে উঠছেন। যার ফলে বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা। এই লকডাউনের সময়ও দুবাইয়ের আদালতে পাল্লা দিয়ে বাড়ছিল বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন। যার ফলে দুবাইয়ের বিচার বিভাগের তরফে নোটিশ জারি করে স্পষ্ট বলা হয়েছে, লকডাউনের সময় বিয়েও করা যাবে না, বিবাহবিচ্ছেদের আবেদনও করা যাবে না। পরবর্তী নোটিস জারি না হওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশ সবাইকে পালন করতে হবে।
আরে পড়ুন— লকডাউনে বন থেকে বেরিয়ে সোজা রাস্তায় গন্ডার, তাড়া করছে মানুষজনকে, দেখুন
দুবাইয়ের বিচারক খালেদ আল-হাওসনি জানিয়েছেন, যারা লকডাউনের আগেই বিয়ের যাবতীয় ফরমালিটি পূরণ করে রেখেছেন তারা এই সময় বাড়িতে বিয়ের উপাচার সেরে রাখতে পারেন। তবে কাউকে নেমন্তন্ন করতে পারবেন না। এমনকী আত্মীয়—স্বজনদের কাউকেই ডাকা যাবে না এই সময়। লকডাউন ওঠার পরই দাওয়াত দিয়ে লেকাজনকে খাওয়ানো যাবে বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে আদালত।