মরসুমেও মন্দা কাটল না অলিম্পিক কারি ক্যাপিটলের
লন্ডন অলিম্পিকের কারি ক্যাপিটল। স্বভাবতই, অলিম্পিক মরসুমে বিক্রি বাড়ার আশায় সেজে উঠেছিল লন্ডনে বাঙালি খাবারের আস্তানা ব্রিক লেন। কিন্তু অলিম্পিক শুরু হলেও, দেখা নেই বাড়তি নতুন ক্রেতার। লন্ডন অলিম্পিকের কারি ক্যাপিটালের এই করুণ ছবিটাই ব্রিটেনের আর্থিক সঙ্কটের ছবিটা আরও একবার সামনে এনে দিয়েছে।
লন্ডন অলিম্পিকের কারি ক্যাপিটল। স্বভাবতই, অলিম্পিক মরসুমে বিক্রি বাড়ার আশায় সেজে উঠেছিল লন্ডনে বাঙালি খাবারের আস্তানা ব্রিক লেন। কিন্তু অলিম্পিক শুরু হলেও, দেখা নেই বাড়তি নতুন ক্রেতার। লন্ডন অলিম্পিকের কারি ক্যাপিটালের এই করুণ ছবিটাই ব্রিটেনের আর্থিক সঙ্কটের ছবিটা আরও একবার সামনে এনে দিয়েছে।
একঝলকে মনে হতে পারে বাংলামুলুকে চলে এসেছেন। চারদিকে সার দিয়ে থাকা এশীয় দোকানের অনেকগুলিই বাঙালি খাবারের। রাস্তায় হাঁটতে গিয়ে দেখাও হয়ে যেতে পারে অনেক বাঙালির সঙ্গে। গত কয়েক দশকে ইউরোপে ইন্ডিয়ান কারির কদর বাড়ানোর পিছনে রয়েছে লন্ডনের এই ব্রিক লেন। অলিম্পিকে ব্রিক লেনকে কারি ক্যাপিটাল হিসেবে ঘোষণা করায় লাভের আশায় ছিলেন এখানকার ব্যবসায়ীরা। কিন্তু সেভাবে বিক্রি বাড়েনি ব্রিক লেনে। ব্যবসায়ীদের মতে অলিম্পিকের লন্ডনে খদ্দেরদের ভিড় উল্টে কমেছে।
অলিম্পিকের মরশুমে এই ভাবে বিক্রি কমায় প্রশাসনকেই দায়ি করেছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের মতে আনুষ্ঠানিক ঘোষণাই সার, বাস্তবে কারি ক্যাপিটালের কোনও প্রচারই হয়নি।
ব্রিক লেনের কারি ক্যাপিটালের করুণ ছবিটাই আসলে ব্রিটেনের আর্থিক সঙ্কটের ছবিটা আরও একবার সামনে এনে দিয়েছে। অনেক লন্ডনবাসীর মতোই তাই আর্থিক ভবিষ্যত নিয়ে হতাশ ব্রিক লেনের এশীয় ব্যবসায়ীরা।
চলতি এই আর্থিক সঙ্কট কাটাতে অলিম্পিককেই আঁকড়ে ধরতে চাইছে গ্রেট ব্রিটেন। যদিও অলিম্পিকের বিপুল খরচ উল্টে সঙ্কট আরও বাড়িয়ে দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন অনেকে। অলিম্পিকের লন্ডনে ব্রিক লেনের ব্যবসার করুণ ছবিটাও কিন্তু সেই ইঙ্গিতই দিচ্ছে।