Onion Prices in Philippines: কনের হাতে পেঁয়াজ কেন? বিস্ময়কর ব্যাপারটি জানতে ক্লিক করুন প্রতিবেদনে...
Onion Prices Tripled in Philippines: ফিলিপিন্সে পেঁয়াজ ‘স্টার ভেজিটেবল’! চলতি বছরের শুরুতেই, ২০২৩ সাল পড়তে না পড়তেই ফিলিপিন্সে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম এমন জায়গায় পৌঁছয় যে,তা সেদেশে মাংস বা মুরগির দামকেও ছাড়িয়ে যায়!
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: কী না হচ্ছে পেঁয়াজ নিয়ে! কেউ বিয়ের আসরে পেঁয়াজ নিয়ে হাজির, তো, কেউ আবার পেঁয়াজের বিনিময়ে বেচছে নিজেদের পণ্য।
পণ্য বিনিময় একটি পুরোনো প্রথা। আধুনিককালে এর কথা তেমন শোনা যায় না। তবে ফিলিপিন্সের এক সুপারশপে তেমনই ঘটেছে। সেখানে পেঁয়াজের বিনিময়ে অন্য পণ্য নেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া হয়েছে। ফিলিপিন্সের রাজধানী ম্যানিলার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কুয়েজোন শহরে জাপান হোম সেন্টারের একটি শাখায় কদিন আগে এই সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। কেন?
কারণ, ফিলিপিন্সে পেঁয়াজ এখন অগ্নিমূল্য। লাফিয়ে লাফিয়ে সে দেশে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম। ফিলিপিন্সে পেঁয়াজ এখন ‘স্টার ভেজিটেবলে’ পরিণত! চলতি বছরের শুরুতেই, ২০২৩ সাল পড়তে না পড়তেই ফিলিপিন্সে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম গিয়ে ঠেকে প্রায় ৬০০/৭০০ পেসোতে (ফিলিপাইনের মুদ্রা)। ৭০০ পেসো প্রায় ১৩ মার্কিন ডলারের সমান। এই মূল্যমান মাংস ও মুরগির দামকেও ছাড়িয়ে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে অনেকেই খাদ্যতালিকা থেকে পেঁয়াজ বাদ দিয়েছেন। খেতে পারছেন না, কিনতে পারছেন না বলে!
কিছু মানুষ এরই মধ্যে বিষয়টি নিয়ে রসিকতাও করেছেন। দেখা যায়, বিয়ের আসরে এক নববধূ বিয়েতে পেঁয়াজ দিয়ে ফুলের তোড়া বানিয়েছেন। আরেক দম্পতিকে বিয়ের স্মারক হিসেবে পেঁয়াজ বেছে নিতে দেখা গিয়েছে! সকলেই আসলে পেঁয়াজের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে না পারার বিষয়টিকে ব্যঙ্গ করেছেন।
ওই সুপারশপটিতে ওইদিন একটি পেঁয়াজ দিয়ে ৮৮ পেসো মূল্যের যেকোনো পণ্য কিনতে পেরেছেন ক্রেতারা। বিষয়টি নিয়ে বেশ সাড়া পড়ে গিয়েছিল। দোকানটিতে কেনাকাটা করতে আসা অনেককেই পকেট থেকে পেঁয়াজ বের করতে দেখা যায়। পেঁয়াজ দিয়ে তাঁরা হাঁড়িকড়া, সাবান-শ্যাম্পু, এয়ার ফ্রেশনার ইত্যাদি কেনেন। বাচ্চারা কেনে চিপস-বিস্কুট। পেঁয়াজ দিয়ে দাম মেটাবার জন্য আলাদা কাউন্টারের ব্যবস্থাও করা হয়েছিল। এক কিশোরকে চাল ও সবজি ধোয়ার একটি পাত্র কিনতে দেখা যায়। তিনটি পেঁয়াজ দিয়ে পছন্দের চিপস, চকলেট, কুকিজ ও ওয়েফার রোল কেনে এক বাচ্চা। এক ব্যক্তি যাতে একাধিকবার কিনতে না পারেন, সেজন্য হাতের বুড়ো আঙুলের ছাপও নেওয়া হয়।