ভেটো প্রবণতা বন্ধ হলেই নিরাপত্তা পরিষদে ঠাঁই মিলবে ভারতের : নিকি হ্যালে

Updated By: Oct 25, 2017, 06:36 PM IST
ভেটো প্রবণতা বন্ধ হলেই নিরাপত্তা পরিষদে ঠাঁই মিলবে ভারতের : নিকি হ্যালে

নিজস্ব প্রতিবেদন: চিন ও রাশিয়া নাগাড়ে বাগড়া দিয়ে চলেছে বলেই রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে ঠাঁই হচ্ছে না ভারতের, খোলাখুলি জানিয়ে দিলেন রাষ্ট্রসংঘে নিযুক্ত মার্কিন প্রতিনিধি নিকি হ্যালে। সেই সঙ্গে বললেন, নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের সঙ্গে ভেটোর বিষয়টি গভীরভাবে জড়িত। সদস্য রাষ্ট্রগুলি (রাশিয়া, চিন, ব্রিটিশ গণরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ফ্রান্স) যদি ভেটো দেওয়ার ক্ষমতা প্রয়োগ না করে তাহলেই কেবল নিরাপত্তা পরিষদে ভারতের অন্তর্ভুক্তি সম্ভব হবে।

ইউএস-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ কাউন্সিল-এর 'আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারত-মার্কিন বন্ধুত্ব তুলে ধরার ব্যাপারে কংগ্রেসের ভূমিকা' শীর্ষক আলোচনাসভায় চেয়ারম্যান স্বদেশ চ্যাটার্জীর প্রশ্নের উত্তরে ভারতীয় বংশোদ্ভুত মার্কিন কূটনীতিক নিকি হ্যালে এদিন জানান, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বরাবরই নিরাপত্তা পরিষদের সংস্কারের (পড়ুন, ভারতের অন্তর্ভুক্তি) বিষয়টি খোলা মনে গ্রহণ করে। কিন্তু এক্ষেত্রে মার্কিন কংগ্রেস বা সেনেটের খুব কিছু করার নেই। কারণ, নিরাপত্তা পরিষদ এ বিষয়ে কংগ্রেসের কথা শুনে চলে না। এরপরই নিকি স্পষ্ট ভাষায় বলেন, তারা ভারতের অন্তর্ভুত্তি মন থেকে চায় কিন্তু দুই স্থায়ী সদস্য রাশিয়া ও চিন পরিষদে কোনও রকম পরিবর্তন আনতে অনিচ্ছুক।

কিন্তু, তাহলে কী করবে ভারত?

নিকি হ্যালের মতে, নিরাপত্তা পরিষদের সদস্যপদ পাওয়ার জন্য আরও বেশি দেশের সমর্থন নিয়ে বারংবার পরিষদে দরবার করা উচিত ভারতের।

প্রসঙ্গত, রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ একেবারেই ২১ শতকের বাস্তবতা মেনে চলছে না বলে দীর্ঘদিন ধরে  বলে আসছে ভারত-সহ একাধিক দেশ। তাই সংস্কার অপরিহার্য। গত মাসে নিউ ইয়র্কে রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ সভা চলাকালীন জি ফোর (ভারত, ব্রাজিল, জার্মানি এবং জাপান) গোষ্ঠীভুক্ত দেশগুলির বিদেশমন্ত্রীরা নিরাপত্তা পরিষদে তাদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে নিজেদের মধ্যে পৃথকভাবে আলোচনায় বসেন। এছাড়াও ব্রিকস, আইবিএসএ-র মতো গোষ্ঠীভুক্ত রাষ্ট্রগুলিও ভারতের অন্তর্ভুক্তির বিষয়ে সুপারিশ জানেয়েছে।

উল্লেখ্য, বর্তমানে রাষ্ট্রসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে পাঁচ স্থায়ী সদস্য রাষ্টের পাশাপাশি দু'বছরের মেয়াদে দশটি অস্থায়ী রাষ্ট্রও রয়েছে। এই দেশগুলি হল- বলিভিয়া (২০১৮), মিশর (২০১৭), ইথিওপিয়া (২০১৮), ইতালি (২০১৭), জাপান (২০১৭), কাজাখস্তান (২০১৮), সেনেগাল (২০১৭), সুইডেন (২০১৮), ইউক্রেন (২০১৭) এবং উরুগুয়ে (২০১৭)।

.