Pakistan Economic Crisis: কাল থেকেই পেট্রোল-ডিজেলের দাম তিনশোর কাছাকাছি, ভয়ংকর পরিস্থিতি পাকিস্তানে
প্রবল আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। এর মধ্যে শাহবাজ শরিফ সরকারেক বড় ধাক্কা দিয়েছে আইএমএফও। পাকিস্তানকে দেওয়া ১.১ বিলিয়ন ডলারের কিস্তি তারা বন্ধ করে দিয়েছে। বেল-আউট প্যাকেজ নিয়ে পাকিস্তান ও আইএমএফের মধ্যে আলোচনা হয়নি
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: গভীর আর্থিক সংকটে পাকিস্তান। বিদেশ থেকে সাহায্যের রাস্তার ক্রমশ বন্ধ হয়ে আসছে। দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের যে বাজারদর তা জানলে ভিড়মি খাওয়ার জোগাড়। পাকিস্তানি রুপিতে সেখানে ১ লিটার দুধের দাম ২১০ টাকা, ১ কিলোগ্রাম চিকেনের দাম এখন দাঁড়িয়েছে ৭৮০ টাকা। বোনলেস চিকেনের দাম দাঁড়িয়েছে ১০০০ থেকে ১১০০ প্রতি কেজি। এরকম এক পরিস্থিতিতে কাল থেকে ফের বাড়ছে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। ফলে এর প্রবল চাপ আমজনতার উপরে পড়তে চলেছে।
আরও পড়ুন-এক প্যাকেট দুধের দাম ২১০ টাকা, চিকেন ৮০০ ছুঁইছুঁই! প্রতিবেশীর পাড়ায় বাজার আগুন...
পাক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী আগামিকাল আর্থাত্ ১৬ ফেব্রুয়ারি ফের বাড়তে চলেছে পেট্রোল, ডিজেলের দাম। প্রতি লিটার পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে ৩২ টাকা। এর ফলে আগামী ১৫ দিন পেট্রোলের দাম ২৫০ টাকা থেকে বেড়ে ২৮২ টাকার আসেপাশে গিয়ে দাঁড়াবে। অন্যদিকে, ডিজেলের দাম ২৬২.৮ টাকা থেকে বেড়ে হতে পারে ২৯৫.৬৪ টাকা। অন্যদিকে, করোসিনের দাম বেড়ে হবে ২১৭.৮৮ টাকা প্রতি লিটার।
উল্লেখ্য, এক প্যাকেট দুধের দাম ২১০ টাকা, চিকেন ৮০০ ছুঁইছুঁই! প্রতিবেশীর পাড়ায় বাজার আগুন। পাকিস্তানের কথাই বলা হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরেই সেখানে এই ধরনের অর্থনৈতিক সংকট চলছে। দিনে দিনে তা গভীর হচ্ছে। এর আগে সেখানে গম ও আটা অগ্নিমূল্য হয়ে ওঠার কথাও শোনা গিয়েছিল। মুরগির দামও ক্রমশ বাড়ছিল। এতটাই বাড়ছিল যে, সেখানে পোলট্রি ফার্ম লুটও হয়। এবার দুধের পালা। পাকিস্তান রুপিতে সেখানে ১ লিটার দুধের দাম ২১০ টাকা, ১ কিলোগ্রাম চিকেনের দাম এখন দাঁড়িয়েছে ৭৮০ টাকা। বোনলেস চিকেনের দাম দাঁড়িয়েছে ১০০০ থেকে ১১০০ প্রতি কেজি।
প্রবল আর্থিক সংকটে ভুগছে পাকিস্তান। এর মধ্যে শাহবাজ শরিফ সরকারেক বড় ধাক্কা দিয়েছে আইএমএফও। পাকিস্তানকে দেওয়া ১.১ বিলিয়ন ডলারের কিস্তি তারা বন্ধ করে দিয়েছে। বেল-আউট প্যাকেজ নিয়ে পাকিস্তান ও আইএমএফের মধ্যে আলোচনা হয়নি। পাকিস্তান ক্রমাগত ঋণখেলাপির দিকে এগোচ্ছে এবং এরই মধ্যে IMF-সহ অন্যান্য দেশও পাকিস্তানের সঙ্গ ছেড়েছে। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও ক্রমাগত কমেছে। পাকিস্তানের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ২.৯ বিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে বলে জানা গিয়েছিল কয়েকদিন আগে। সর্ব ক্ষেত্রেই মূল্যবৃদ্ধিও তুঙ্গে উঠেছে সেদেশে। মার্কিন ডলারের বিপরীতে পাকিস্তানি মুদ্রার দাম কমছে। কিন্তু কেন IMF পাকিস্তানকে বেল-আউট প্যাকেজ দিচ্ছে না? যে জন্য পাকিস্তানের ১.১ বিলিয়ন ডলারের কিস্তি আটকে আছে।