Pakistan Economic Crisis: ভয়ংকর আর্থিক পরিস্থিতি! পাকিস্তানে ১ ডলারের দাম শুনলে চমকে যাবেন
দেশের বৈদেশিক মূদ্রার ভাঁড়ার নেমে যাওয়ায় দেশে খাদ্য পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। রফতানি প্রায় তলানিতে। আমদানির উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে শেহবাজ শরিফ সরকারকে। সেখানেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বৈদেশিক মূদ্রার ভান্ডার
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দেশে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের আকাল। কোথাও জিনিস মিললেও তার দাম আকাশ ছোঁয়া। বিদ্যুত্ ঘাটতি চরমে। পরিস্থিতি সামাল দিতে মল, বিয়েবাড়ী, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস কাছারির বিদ্যুত্ ব্যবহারের উপরে কড়া নির্দেশিকা আরোপ করা হয়েছে। দেশে বৈদেশিক মূদ্রার ভাঁড়ারও ক্রমশ কমে আসছে। এরকম এক পরিস্থিতিতে পাকিস্তানে রুপির দাম এক ধাক্কায় নেমে গেল অনেকটাই।
আরও পড়ুন-রাজভবনে হাতেখড়ি; 'অ-আ' লিখলেন রাজ্যপাল, 'বর্ণপরিচয়' উপহার মুখ্যমন্ত্রীর
বুধবার পাকিস্তানে ১ ডলারের মূল্য ছিল ২৩০ পাকিস্তানি রুপি। ২৪ ঘণ্টা পরেই সেই দাম নেমে হল ২৫৫ টাকা। অর্থাত্ হাজার রুপিতে ৪ ডলারও পাওয়া যাবে না। পকিস্তানকে ৬ বিলিয়ন ডলার বেল আউট প্যাকেজ দিচ্ছে আইএমএফ। সেই বেল আউট পেতে আইএমএফের দেওয়া কড়া শর্ত মেনে নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফ। সেই ঘোষণার পরই রুপির দাম তলিয়ে যায়।
আইএমএফ যে শর্ত দিয়েছে তা হল রুপির দামের উপরে পাকিস্তান কোনও নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে না। তা ছেড়ে দিতে হবে বাজারের হাতে। আইএমএফের কাছ থেকে ওই অর্থ পেলে কিছুটা শ্বাস নিতে পারবে পাকিস্তান।
দেশের বৈদেশিক মূদ্রার ভাঁড়ার নেমে যাওয়ায় দেশে খাদ্য পণ্যের দাম আকাশ ছুঁয়েছে। রফতানি প্রায় তলানিতে। আমদানির উপরেই নির্ভর করতে হচ্ছে শেহবাজ শরিফ সরকারকে। সেখানেই বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বৈদেশিক মূদ্রার ভান্ডার। দেশের কোথাও কোথাও এক বস্তা আটার দাম ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত পৌঁছে গিয়েছে। সেই বিপুল দামের আটা নেওয়া জন্য মানুষের পদপিষ্ট হওয়া জোগাড়। এর মধ্যেই সুদের হার বাড়িয়ে দিয়েছে পাকিস্তানের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। গত ২৪ বছরে ওই হার সর্বোচ্চ।
দেশের বর্তমান করুন আর্থিক পরিস্থিতির জন্য ইমরান খানতেই এখন দায়ী করছেন শাহবাজ শরিফ। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভিজছে না। দেশের বর্তমান আর্থিক পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসার কোনও রাস্তাও দেখাতে পারছেন না শরিফ।