শরণার্থী শিবিরে নির্মম যৌন হেনস্থার শিকার হচ্ছে কিশোররা
ওদের নিজেদের থাকার জায়গা নেই। জীবনের স্থায়িত্ব নেই। কোন দেশ ওদের নিজের বলে মানে না। ওরা শরণার্থী। এই যাযাবরের জীবন থেকে সন্তানদের রক্ষা করতে, তাঁদের একটা ভালো ভবিষ্যৎ দিতে তাই ছেলে মেয়েদের অন্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়া।
ওয়েব ডেস্ক: ওদের নিজেদের থাকার জায়গা নেই। জীবনের স্থায়িত্ব নেই। কোন দেশ ওদের নিজের বলে মানে না। ওরা শরণার্থী। এই যাযাবরের জীবন থেকে সন্তানদের রক্ষা করতে, তাঁদের একটা ভালো ভবিষ্যৎ দিতে তাই ছেলে মেয়েদের অন্য দেশে পাঠিয়ে দেওয়া। কিন্তু তাতে কি সত্যিই ভালো কিছু হচ্ছে? নাকি আরও অন্ধকার হয়ে যাচ্ছে ছোট ছোট ছেলে মেয়েগুলোর জীবন?
ফ্রান্স থেকে ইউনাইটেড কিংডমে যাওয়ার সময় শরণার্থীরা ক্যলেইসের রিফিউজি ক্যাম্পে থাকে। এই ক্যাম্পের চলতি নাম ক্যালেইস জঙ্গল। বাঘ, সিংহের মতো হিংস্র প্রাণীরা না থাকলেও ক্যালেইস জঙ্গল আদতে জঙ্গলই বটে। হাজার হাজার মানুষ ইউ কে যাওয়ার জন্য ক্যালেইস জঙ্গল রিফিউজি ক্যাম্পে থাকে। বাঁচার জন্য আশ্রয় খুঁজতে গিয়ে এখানেই চরম অত্যাচারের শিকার হয় বাচ্চারা ছেলেরা। ১৪ থেকে ১৬ বছরের ছেলেদের নির্মম ভাবে যৌন হেনস্থা করা হয়। কখনও এই অত্যাচার এমন পর্যায়ে পৌঁছয় যে তাদের শরীরে সার্জারি না করলে বাঁচানো সম্ভব হয় না। এদের মধ্যে অনেককে আর খুঁজেও পাওয়া যায় না। হয়ত নৃশংসতার সঙ্গে লড়াইয়ে তারা হার মেনে নেয়।