Queen Elizabeth II Funeral: ফিরিয়ে দাও আমাদের দুর্মূল্য হিরে! রানির মৃত্যুর পরেই সুর চড়াল দক্ষিণ আফ্রিকা
Queen Elizabeth II Funeral: আমাদের দেশের এবং আরও অন্য দেশের খনিজসম্পদ এবং আমাদের দেশের মানুষকে হারিয়ে এককালে ব্রিটিশের হাতে কালিনান হিরের মতো বহুমূল্য হিরে তুলে দেওয়া হয়েছিল। এসব এক্ষুণি দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে তুলে দেওয়া উচিত।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: রানির মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই নানা দেশ থেকে ব্রিটেনের হেফাজতে থাকা তাদের সম্পত্তি ফিরিয়ে দেওয়ার ডাক উঠেছে। ব্রিটিশ রাজমুকুটে এবং রাজদণ্ডে যেসব বহুমূল্য বিরল হিরেমণিরত্ন খচিত রয়েছে সেগুলি বিভিন্ন দেশের। তারা এবার স্বর তুলছে, সেসব ফিরিয়ে দিতে হবে তাদের। একই ডাক দিচ্ছে সাউথ আফ্রিকাও। রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের মৃত্যুর পরেই দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের কালিনান নামের বিরল হিরেটি ফেরত চেয়েছে, যেটি ব্রিটিশের রাজদণ্ডে খচিত। হিরেটি আফ্রিকার 'গ্রেট স্টার' নামেও খ্যাত। এটি বিশ্বের বৃহত্তম হিরের টুকরো হিসেবে পরিচিত! ১৯০৫ সালে খনি থেকে পাওয়া এক বিরল মানের হিরে থেকে কেটে এটি তৈরি হয়েছিল। ব্রিটিশ রাজপরিবারের হাতে এটি তুলে দিয়েছিল আফ্রিকার তৎকালীন ঔপনিবেশিক শাসকেরা।
আরও পড়ুন: Queen Elizabeth II’s Casket: কত বছর আগে, কী দিয়ে তৈরি হয়েছিল রানির কফিন?
দক্ষিণ আফ্রিকার অ্যাক্টিভিস্ট থান্ডুক্সলো সাবেলো অত্যন্ত তিক্ততার সঙ্গে বলেছেন, কালিনান হিরেটি এক্ষুণি দক্ষিণ আফ্রিকার হাতে তুলে দেওয়া উচিত। আমাদের দেশের এবং আরও অন্য দেশের খনিজসম্পদ এবং আমাদের দেশের মানুষকে হারিয়ে এককালে ব্রিটিশের হাতে এইসব তুলে দেওয়া হয়েছিল। শুধু কথাই নয়, রীতিমতো একটা সংগঠনও তৈরি হয়ে গিয়েছে। তৈরি হয়েছে 'চেঞ্জ.অর্গ' শীর্ষক একটি অনলাইন পিটিশন। যেখানে অন্তত পক্ষে ৬০০০ মানুষ সই করেছেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার পার্লামেন্টের সদস্য ভুয়োলওয়েথু জুংগুলা একটি ট্যুইট করে বলেছেন, যে সব সোনাদানা হিরে-টিরে এককালে ব্রিটিশেরা চুরি করেছিল, তা এবার ফেরানোর সময় এসেছে।
জানা গিয়েছে, ৫৩০.২ ক্যারাটের ওই দক্ষিণ আফ্রিকার হিরেটি ঐতিহ্যবাহী ব্রিটিশ শাসনদণ্ডের অংশ হয়ে উঠেছে। অথচ হিরেটি ষোলোশো খ্রিস্টাব্দ নাগাদ তাদের দেশে রাজ্যভিষেকের সময় ব্যবহৃত হত। ঠিক এই মুহূর্তে হিরেটির মূল্য কত, কেউ তা পরিষ্কার জানে না। তবে এটি বিপুল মূল্যের সন্দেহ নেই। এর ঐতিহাসিক গুরুত্বই এর মূল্য বৃদ্ধি করেছে।