প্রিয়জনের মৃত্যুর শোক, মহামারীতে ছারখার জীবন, Ground Reporting-এ কেঁদে ফেললেন সাংবাদিক

সব সময় কি আর মন শক্ত রাখা যায়! বিশেষ করে, মানুষের হাহাকারের মাঝে দাঁড়িয়ে! চারপাশে মৃত্যুর এত দাপট। সামান্য একটা ভাইরাস কি ভয়ঙ্কর ক্ষতি করে গেল মানব জাতির। 

Edited By: সুমন মজুমদার | Updated By: Jan 14, 2021, 12:32 PM IST
প্রিয়জনের মৃত্যুর শোক, মহামারীতে ছারখার জীবন, Ground Reporting-এ কেঁদে ফেললেন সাংবাদিক

নিজস্ব প্রতিবেদন- On-ground reporting করতে হয়েছে। পেশার তাগিদেই করতে হয়েছে। না হলে মৃত্যুর মিছিল দেখতে কার ভাল লাগে! চারপাশে কান্না, হাহাকার। শুনতে কার ভাল লাগে! এই আর্তনাদ, স্বজন হারানোর শোক স্বচক্ষে দেখা কি আর এত সহজ! সাংবাদিকদের কাজটাই তো কঠিন। জেনে, বুঝেই এক সাংবাদিক এই পেশায় আসেন। নিজেকে শক্ত করে গড়ে তোলেন। নিজেকেই বোঝাতে হয়, এসব পেশার অঙ্গ। সাধারণ মানুষের মতো ভাবলে চলবে না। মন শক্ত করে এই মৃত্যুর মিছিলের মাঝে দাঁড়িয়েই মানুষকে ছবি দেখাতে হবে। পরিস্থিতি বুঝিয়ে দিতে হবে বুম হাতে ধরেই। 

সব সময় কি আর মন শক্ত রাখা যায়! বিশেষ করে, মানুষের হাহাকারের মাঝে দাঁড়িয়ে! চারপাশে মৃত্যুর এত দাপট। সামান্য একটা ভাইরাস কি ভয়ঙ্কর ক্ষতি করে গেল মানব জাতির। মহামারী ছারখার করেছে বহু মানুষের জীবন। পাশের মানুষকে হারিয়ে কেউ বিহ্বল। কারও ভবিষ্যত অন্ধকার। এত কিছু, এত কঠিন বাস্তবের মাঝে দাঁড়িয়ে গ্রাউন্ড জিরো রিপোর্টিং। সাংবাদিক। এটাই তাঁর কাজ। তবে ভিতরে তো আরও একটি সত্ত্বা রয়েছে। Sara Sidner-এর সেই সত্ত্বাটা এত বড় বিপর্যয় দেখে আর আবেগ সামলাতে পারেনি। লাইভ রিপোর্টি-এ কেঁদে ফেলেন তিনি। সেই কান্নায় কোনও টিআরপি-র দ্বন্দ্ব ছিল না। শো হিট করানোর জন্য কোনও চেষ্টা তো ছিলই না। তিনি কেঁদে ফেলেছিলেন মানুষের ক্ষতির পরিমাণ দেখে। 

আরও পড়ুন-  চিনে আবার Corona-র বাড়বাড়ন্ত, ভাইরাসের উত্স খুঁজতে উহানে হাজির WHO-র দল

দশটি হাসপাতাল ঘুরছিলেন তিনি। মানুষকে জানাতে চেয়েছিলেন, করোনা পরিস্থিতি কতটা ভয়ঙ্কর আকার নিয়েছে। দশ নম্বর হাসপাতালে গিয়ে তিনি ভেঙে পড়েন। চোখে জল নিয়ে ক্যামেরার সামনে অস্বস্তিতে পড়েন Sara Sidner. তবে মুহূর্তে নিজেকে সামলে নেন। তার পর দর্শকদের সামনে ক্ষমা চেয়ে বলেন, ''এই নিয়ে আমেরিকায় দশ নম্বর হাসপাতালে ঘুরলাম আমি। কত মানুষ নিজের প্রিয়জনকে হারিয়েছে। তাঁদের ভবিষ্যত কী হবে! তাঁদের মধ্যে অনেকেই একা হয়ে পড়েছেন এই পৃথিবীতে। কী নিয়ে বাঁচবেন তাঁরা! তাঁদের এত অপূরণীয় ক্ষতি দেখে আমি নিজেকে সামলাতে পারিনি। ক্ষমা করবেন।'' Allison নামের সঞ্চালক তখন Sara Sidner-কে বলেন, ''গোটা বছর তুমি গ্রাউন্ড জিরো রিপোর্টিং করেছ। তোমালৃর এই খারাপ লাগা স্বাভাবিক। এই কান্না তোমার একার নয়। এত আর্তনাদ আমাদেরও কাঁদিয়ে দিয়েছে। ক্ষমা চাওয়ার কোনও প্রয়োজন নেই। মানুষের এই অভাবনীয় ক্ষতিতে আমরাও সমান দুঃখিত।''

.