স্বাধীনতার স্বাদ পাবে কি স্কটল্যান্ড? আজ মিলবে উত্তর

স্বাধীন দেশ না ব্রিটেনের অঙ্গরাজ্য? কী হবে স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যত? সেই উত্তর জানতেই আজ স্কটল্যান্ড গণভোটের চূড়ান্ত রায়ের দিকে তাকিয়ে গোটা দুনিয়া। বুধবার প্রচার শেষ হওয়া পর্যন্ত ভোটারদের মন জয় করতে পথে নেমেছিল দুপক্ষই। লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি তা সব মতামত সমীক্ষাতেই স্পষ্ট।হয় স্বাধীনতার পক্ষে হ্যাঁ-ভোট না হলে যুক্তরাজ্যের অঙ্গ হিসেবে থেকে যেতে না-ভোট। এই দুই শিবিরেই এখন বিভক্ত স্কটল্যান্ডের মানুষ। বিভাজন যেন সমাজের সব স্তরেই পৌছে গিয়েছে। এমনকী কেক-পেস্ট্রির দোকানেও সেই হ্যাঁ-ভোট আর না-ভোটের লড়াই।

Updated By: Sep 18, 2014, 10:44 AM IST
স্বাধীনতার স্বাদ পাবে কি স্কটল্যান্ড? আজ মিলবে উত্তর

ব্যুরো: স্বাধীন দেশ না ব্রিটেনের অঙ্গরাজ্য? কী হবে স্কটল্যান্ডের ভবিষ্যত? সেই উত্তর জানতেই আজ স্কটল্যান্ড গণভোটের চূড়ান্ত রায়ের দিকে তাকিয়ে গোটা দুনিয়া। বুধবার প্রচার শেষ হওয়া পর্যন্ত ভোটারদের মন জয় করতে পথে নেমেছিল দুপক্ষই। লড়াই যে হাড্ডাহাড্ডি তা সব মতামত সমীক্ষাতেই স্পষ্ট।হয় স্বাধীনতার পক্ষে হ্যাঁ-ভোট না হলে যুক্তরাজ্যের অঙ্গ হিসেবে থেকে যেতে না-ভোট। এই দুই শিবিরেই এখন বিভক্ত স্কটল্যান্ডের মানুষ। বিভাজন যেন সমাজের সব স্তরেই পৌছে গিয়েছে। এমনকী কেক-পেস্ট্রির দোকানেও সেই হ্যাঁ-ভোট আর না-ভোটের লড়াই।

বুধবার গণভোটের আগে প্রচারের শেষ দিনে গ্লাসগোয় সভা করেন স্বাধীনতাপন্থীরা। স্কটল্যান্ডের উন্নতিতে ‘হ্যা’-ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান তাঁরা। উল্টোদিকে স্কটল্যান্ডকে ব্রিটেনে রাখতে বাড়তি স্বায়ত্বশাসনের আশ্বাস দিয়েছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন সহ ইংল্যান্ডের সবকটি রাজনৈতিক দলের নেতারা। ‘না’-ভোট দিলে স্কটিশ পার্লামেন্টকে আরও বেশি করে স্বায়ত্ব শাসন দেওয়ার আশ্বাস দেন তাঁরা। লেবার পার্টির সদস্য ডগলাস আলেকজান্ডার বলেন, যদি স্বাধীনতার পক্ষে মত দেওয়া হয় তবে অনিশ্চয়তার বাড়বে স্কটল্যান্ডের। এখানেই স্বাধীনতাপন্থীরা ব্রিটিশ যুক্তরাজ্যের সমর্থকদের বিরুদ্ধে ভয়ের পরিবেশ তৈরির অভিযোগ তুলেছেন। হঠাত্ গণভোটের ঠিক আগে স্কটল্যান্ডকে বাড়তি স্বায়ত্ব শাসন দেওয়ার প্রস্তাব নিয়েও প্রশ্ন তোলেন স্বাধীনতাপন্থীরা।

তবে আপাতত এখন স্কটল্যান্ডের ভাগ্য নির্ধারণের ক্ষমতা সেখানকার নাগরিকদের হাতে৷ তাঁরা যদি স্বাধীনতার পক্ষে রায় দেন, তবে তিনশো বছরের ব্রিটিশ শাসনে থাকার পর মুক্তি পাবে স্কটল্যান্ড৷ সারা দুনিয়ার মানুষ আপাতত সেই ঐতিহাসিক রায়ের দিকেই তাকিয়ে।

 

.