`কোরান` পোড়াল ন্যাটো, জ্বলছে আফগানিস্তান
'কোরান' পোড়ানোর অভিযোগে মঙ্গলবার কাবুলে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এবার ছড়িয়ে পড়ছে গোটা আফগানিস্তানে। বুধবার পুলিসের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৪ জন। এছাড়া বহু মানুষ আহত।
'কোরান' পোড়ানোর অভিযোগে মঙ্গলবার কাবুলে শুরু হওয়া বিক্ষোভ এবার ছড়িয়ে পড়ছে গোটা আফগানিস্তানে। বুধবার পুলিসের গুলিতে নিহত হয়েছেন ৪ জন। এছাড়া বহু মানুষ আহত। এদিন কাবুলে ন্যাটোর বাগ্রাম বিমানঘাঁটির সামনে বিক্ষোভ দেখায় কয়েক হাজার মানুষ। এছাড়া জালালাবাদেও শুরু হয়েছে বিক্ষোভ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিক্ষোভকারী জনতা গাড়ি ভাঙচুর চালায়, অনেকে পেট্রোল বম্ব ছুঁড়তে থাকে। বিক্ষোভকারীদের সামাল দিতে কয়েক রাউন্ড গুলি চালিয়েছে পুলিস। ব্যবহার করা হয়েছে জল কামানও। তুমুল বিক্ষোভের বেশ কয়েকজনের আহত হওয়ার খবরও পাওয়া গিয়েছে। আজমল নামে ১৮ বছর বয়সী এক বিক্ষোভকারী বলেন, ''আমেরিকানরা যদি এই ভাবে অপমান করে, তা হলে আমরা তালিবানের সঙ্গে বিদ্রোহে সামিল হব।''
বাগ্রাম বিমানঘাঁটিতে মুসলিম ধর্মগ্রন্থ 'কোরান' ও বেশ কিছু ইসলাম ধর্মীয় সরঞ্জাম পুড়িয়েছে কয়েকজন মার্কিন ফৌজ। এই অভিযোগে মঙ্গলবারই ব্যাপক বিক্ষোভ শুরু হয় কাবুলে। আবদুল ওয়াহিদ নামে এক প্রত্যক্ষদর্শীর জানান, এদিন সকাল ১১টা নাগাদ একটি ট্রাকে ভর্তি 'কোরান' বাগ্রাম বিমানঘাঁটিতে নিয়ে আসে মার্কিন সেনারা। এরপর সেগুলিকে একটি জায়গায় জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেয় তারা। আফগানিস্তানে মার্কিন সেনা আধিকারিক জেনারেল জন আর অ্যালেন জানিয়েছেন, বিষয়টি শুনেই তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, ``এই ধরনের কোনও ঘটনা থাকলে আমি আফগান সরকার ও আফগান জনতার কাছে আগাম ক্ষমা চাইছি। এবং দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।``
যদিও ন্যাটো-র এই সাফাইয়ে ক্ষোভের উত্তাপ একেবারেই কমেনি। এদিন বেশ কয়েকজন বিক্ষোভকারীর মুখে তালিবান নেতা মোল্লা ওমরের জয়ধ্বনিও শোনা গিয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিস।