পাগড়ি খুলে শিশুর জীবন বাঁচল এক শিখ ছাত্র
মানুষ মানুষের জন্য। জীবন জীবনের জন্য। হ্যাঁ, মানুষ একটু সহানুভূতি দিলেই বাঁচে মানুষের প্রাণ। তার প্রমাণ মিলল ভারতীয় বংশোদ্ভুত শিখ ছাত্রের কাছ থেকে।
ওয়েব ডেস্ক: মানুষ মানুষের জন্য। জীবন জীবনের জন্য। হ্যাঁ, মানুষ একটু সহানুভূতি দিলেই বাঁচে মানুষের প্রাণ। তার প্রমাণ মিলল ভারতীয় বংশোদ্ভুত শিখ ছাত্রের কাছ থেকে।
বাইশ বছরের যুবক হরমন সিং নিজের পাগড়ি খুলে গাড়ির ধাক্কায় আহত এক শিশুর মাথায় বেঁধে দেন। হরমন সিং নিউজিল্যান্ড হেরাল্ড সংবাদমাধ্যমে জানান, " আমি দেখলাম মাটিতে লুটিয়ে পড়ে রয়েছে পাঁচ বছরে এক শিশু। তার মাথা থেকে অনবরত রক্ত বেরোচ্ছে। এক ভদ্রমহিলা তাঁর মাথা চেপে ধরলেও কিছুতে রক্ত বন্ধ হচ্ছিল না। তখন আমার পাগড়ি খুলে তার মাথায় বেঁধে দিই।" তিনি আরও জানান, " আমি আমার পাগড়ি খোলা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম না। ওই সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনা আমাকে ভাবিয়ে তুলেছিল। সাহায্য করার জন্য সবাই আমাকে ধন্যবাদ জানিয়েছে, তাতেই আমি খুশি।"
হরমন সিংয়ের এমন সাহসী কাজ বিশ্ব জুড়ে প্রশংসিত হয়। টুইটার, ফেসবুকে হরমনকে অভিনন্দন জানান পরিচিত-অপরিচিত বন্ধুরা। প্রসঙ্গত, পাঁচ বছরের শিশুটি স্কুল যাওয়ার সময় গাড়ি ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়। এখন শিশুটি শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল।