Sun Storm: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সৌর-ঝড়! এশিয়া-অস্ট্রেলিয়ায় রেডিও ব্ল্যাকআউটের আশঙ্কা
এবার সূর্যের দক্ষিণ গোলার্ধের এই অঞ্চল থেকেই শক্তিশালী সৌরশিখার জন্ম হল। বিপদ শুধু এখানেই। এই শিখার রেশ পড়তে চলেছে পৃথিবীতেও। বায়ুমন্ডলে যে আয়ন রয়েছে, সেখানে পড়বে প্রভাব। যার জেরে রেডিও ব্ল্যাকআউটও হতে পারে পৃথিবীতে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: সূর্যের গায়ে দেখা দিয়েছে একটি কালো গর্ত, এ তথ্য আগেই জানিয়েছিলেন বিজ্ঞানীরা। পৃথিবীর তুলনায় প্রায় ২০ গুণ বড় এই গর্ত। এবার সূর্যের দক্ষিণ গোলার্ধের এই অঞ্চল থেকেই শক্তিশালী সৌরশিখার জন্ম হল। বিপদ শুধু এখানেই। এই শিখার রেশ পড়তে চলেছে পৃথিবীতেও। বায়ুমন্ডলে যে আয়ন রয়েছে, সেখানে পড়বে প্রভাব। যার জেরে রেডিও ব্ল্যাকআউটও হতে পারে পৃথিবীতে। সম্প্রতি আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা এই গর্তটি আবিষ্কার করেন। করোনল হোল নাম দেওয়া হয়েছে এই বিশাল গর্তকে। বিজ্ঞানীদের কথায়, সূর্যের একটি বড় অংশ বেমালুম অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে। তার ফলেই দেখা দিয়েছে এত বড় গর্ত।
আরও পড়ুন, Japan: ৩৫৫ ঘন্টা সিগারেট টেনে জরিমানা ১২ লাখ, মাথায় হাত সরকারি কর্মচারীর
এই গর্তের কারণে তৈরি হওয়া সৌর ঝড় প্রতি ঘণ্টায় ২.৯ মিলিয়ন বেগে ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। শুক্রবার পৃথিবীতে আছড়ে পড়বে সৌর ঝড়, এমনটাই আশঙ্কা করছেন বিজ্ঞানীরা। তার সুদূরপ্রসারী প্রভাব ইতিমধ্যেই পরিলক্ষিত হচ্ছে। আমেরিকার দক্ষিণ প্রান্তে, নিউ মেক্সিকো তো বটেই, অস্ট্রেলিয়া থেকেও চোখে পড়ছে রঙিন মেরুজ্যোতি। যদি শক্তিশালী এই সৌরঝড় আসে তবে সাময়িকভাবে স্যাটেলাইট সিস্টেম, টেলিফোন নেটওয়ার্ক, ইন্টারনেট সমস্ত কিছু অচল হয়ে যায়। বেশকিছু পাওয়ার গ্রিডও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। পাশাপাষি রয়েছে ক্ষতিকর রেডিয়েশন, যার ফলে অন্যান্য ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও থাকে।
২৩ থেকে ২৫ মার্চের মধ্যে সৌরঝড় মহাকাশে আছড়ে পড়বে বলে ধারণা ছিল বিজ্ঞানীদের। কিন্তু এত শীঘ্র, এত প্রবল ভাবে সেটির আঁচ পৃথিবীতে এসে পড়বে, তা বোঝা যায়নি। নাসা জানিয়েছে, সৌরজ্বালা শক্তিশালী বিস্ফোরণ। ফ্ল্যায়ার এবং সৌর বিস্ফোরণ রেডিও যোগাযোগ, বৈদ্যুতিক পাওয়ার গ্রিড এবং নেভিগেশন সিগন্যালকে প্রভাবিত করতে পারে। এমনকী মহাকাশযান এবং মহাকাশচারীদের জন্য ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। নাসার সোলার ডায়নামিক্স অবজারভেটরি সূর্যের এই অগ্ন্যুত্পাতটি লক্ষ্য করেছে। যা অন্যান্যগুলির থেকে কয়েকগুণ বেশি। সেই কারণেই মনে করা হচ্ছে এই সৌরশিখার প্রভাব পড়তে চলছে সৌরমণ্ডলের গ্রহ-উপগ্রহগুলির ওপরেও। তবে এ বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহের দিকে নজর দিয়েছে নাসা।
২০২৩ সালের মাত্র তিন মাসের মধ্যে সূর্য থেকে এ ধরনের বিস্ফোরণ সপ্তমবার ঘটল। যা ২০২২ সালে সূর্য থেকে বেরিয়ে আসা মোট রশ্মির সংখ্যার সমান। এই বিস্ফোরণ ইঙ্গিত দেয় যে সূর্য যখন তার সৌরচক্রের শীর্ষ ক্রিয়াকলাপের দিকে এগিয়ে চলেছে তখন তার কার্যকলাপ দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ১৯৮৯ সালে একটি সৌর ঝড় আছড়ে পড়েছিল পৃথিবীতে। এর ফলে কানাডাতে প্রায় ৯ ঘন্টা বিদ্যুৎ ছিল না। যদিও বড় কিছু হওয়ার সম্ভাবনাও কম।পৃথিবীর চৌম্বকীয় ক্ষেত্র পৃথিবীকে সুরক্ষা দেবে এই ঝড়ের থেকে এমনটাই জানান হয়েছে।
আরও পড়ুন, মাকে মমি বানিয়ে ১৩ বছর ধরে একঘরে 'সহ-বাস'! তাজ্জব করা হাড়হিম ঘটনা...