হ্যালোউইন উৎসবে দক্ষিণ কোরিয়ায় পদপিষ্ট ১৫১ জন, মর্মান্তিক ঘটনায় স্তম্ভিত বিশ্ব
এই দুর্ঘটনায় প্রায় ১৫০ এর বেশি লোক পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে। শনিবার রাতের এই ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছে সেখানকার জরুরিবিভাগের আধিকারিকরা। তবে কেবল রাজধানী সিওলে নয়, পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও হ্যালোউইন উদযাপনের ভিড়েও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়৷
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: হ্যালোউইন উৎসবে নিয়ে মাতোয়ারা সারা বিশ্ব। একাধিক দেশে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে প্রস্তুতি পর্ব। কিন্তু এরই মধ্যে এক মর্মান্তিক ঘটনা ঘটল দক্ষিণ কোরিয়ায়। সে দেশের রাজধানী সিওলে হ্যালোউইন উৎসবমুখর রাতে বিপুল জনস্রোতে পদপিষ্ট হয়ে শতাধিকের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই কিশোর-কিশোরী। এছাড়া ২০ জনের বেশি রয়েছে প্রাপ্তবয়স্ক।
আরও পড়ুন, 'হাই বিজয় মামা, আমি ঋষি!' কাকে ব্রিটেনে ডাকলেন নতুন প্রধানমন্ত্রী?
এই দুর্ঘটনায় প্রায় ১৫০ এর বেশি লোক পদপিষ্ট হয়ে মারা গিয়েছে। শনিবার রাতের এই ঘটনার বিস্তারিত জানিয়েছে সেখানকার জরুরিবিভাগের আধিকারিকরা। তবে কেবল রাজধানী সিওলে নয়, পার্শ্ববর্তী এলাকাতেও হ্যালোউইন উদযাপনের ভিড়েও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়৷ সেখানেও প্রায় ৬৫ জনের পদপিষ্ট হওয়ার খবর এসেছে। এর মধ্যে ১৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। জরুরিকালীন বিভাগে তাদের চিকিৎসা চলছে। মৃত্যু সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, এমনটাই সম্ভাবনা জানিয়েছে পুলিস প্রশাসন। এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার খবর পেয়ে শোকপ্রকাশ করেছেন দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রপতি ইউন-সুক-ইওল। নিহতের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রবিবারের দিনটিকে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন। একটি বিবৃতিতে তিনি বলেছেন, "এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। যা হয়েছে তা কখনই কাম্য নয়।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ কোরিয়ায় গত তিন বছর কোভিডের কারণে হ্যালোউইন উৎসব পালন করা হয়নি। ফলে এবছর বিধিনিষেধ উঠতেই রাজধানীতে জনস্রোত পরিস্থিতি। হ্যালোউইন পোশাক এবং মুখোশ পরেই রাস্তায় নামে জনতা। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, যত রাত গভীর হয়েছে লোকসমাগম হয়েছে প্রচুর। দক্ষিণ কোরিয়ার সময়ে রাত দেড়টা নাগাদ এই বিপর্যয় ঘটে। নিহতদের অনেকেই নাইটক্লাবের কাছে ছিল। বেশিরভাগের বয়স বছর কুড়ি।
আরও পড়ুন, ফের আক্রমণ আমেরিকায়, নিজের বাড়িতে আক্রান্ত স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির স্বামী
তবে ভিড় হওয়ার পূর্বাভাস ছিলই পুলিসের কাছে। সেই মতো নিয়ন্ত্রণও চলছিল। কিন্তু আচমকা জনবিস্ফোরণে নিয়মেও সমস্যা দেখা দেয়। এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, "প্রথমে মূল রাস্তায় নয়, গলিতে গলিতে ভিড় বেশি হতে থাকে। এর তা মূল রাস্তায় এসে পড়ে। স্বাভাবিকের থেকে কমপক্ষে ১০ গুণ বেশি লোক হয়েছিল, ফলে তা সামাল দিতে হিমসিম খেতে হয় পুলিসকে।" সোশাল মিডিয়ায় যে ভিডিও প্রকাশ্যে এসেছে সেখানে দেখা গিয়েছে শত শত লোক পদপিষ্ট হয়ে পড়ে রয়েছে এবং তাদের মুক্ত করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিস। অচৈতন্য অবস্থা বেশ কিছু মানুষকে উদ্ধার করার দৃশ্যও দেখা গিয়েছে ভিডিওতে।