জারদারির বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা নিয়ে ফের অস্থিরতা পাকিস্তানে
পাকিস্তানে ফের প্রশাসনের সঙ্গে বিচার বিভাগের সংঘাত চরমে। প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জর্দারির বিরুদ্ধে বন্ধ থাকা সমস্ত দুর্নীতির মামলাগুলি ফের শুরু করতে, প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফকে নির্দেশ দিয়েছে পাক সুপ্রিম কোর্ট।
পাকিস্তানে ফের প্রশাসনের সঙ্গে বিচার বিভাগের সংঘাত চরমে। প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জর্দারির বিরুদ্ধে বন্ধ থাকা সমস্ত দুর্নীতির মামলাগুলি ফের শুরু করতে, প্রধানমন্ত্রী রাজা পারভেজ আশরাফকে নির্দেশ দিয়েছে পাক সুপ্রিম কোর্ট। এ বিষয়ে বর্তমান সরকার কী পদক্ষেপ নিয়েছে, আগামী ২৫ জুলাইয়ের মধ্যে সেই রিপোর্টও প্রধানমন্ত্রীকে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। বৃহস্পতিবার মামলার শুনানির সময় এই রায় দেয় পাক সুপ্রিম কোর্ট।
আদালতের এই ঘোষণার পর জরুরী বৈঠকে বসে পরবর্তী রণকৌশল স্থির করার চেষ্টা শুরু করেছে ক্ষমতাসীন জোটের প্রধান শরিকদল পাকিস্তান পিপলস পার্টি। প্রসঙ্গত, পাক প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে দুর্নীতি মামলা শুরুর যে নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত, তা না মানায় প্রধানমন্ত্রীর কুর্সি হারাতে হয়েছিল ইউসুফ রাজা গিলানিকে।
চলতি বছরের ২৬ এপ্রিল বিচারপতি নাসির-উল-মুল্কের নেতৃত্বাধীন পাক সুপ্রিম কোর্টের ৭ বিচারপতির বেঞ্চ, `ইচ্ছাকৃত ভাবে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার জন্য প্রধানমন্ত্রী ইউসুফ রাজা গিলানিকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০ সেকেন্ডের কারাবাসের সাজা দিয়েছিল।
আদালত অবমাননার দায়ে প্রতীকী সাজা ঘোষণার পাশাপাশি পাক শীর্ষ আদালত স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিয়েছিল, দোষী সাব্যস্ত হওয়ার ফলে সংবিধানের ৬৩(১-জি) ধারা অনুযায়ী তাঁর কিছু গুরুতর শাস্তি হতে পারে। কার্যক্ষেত্রে হয়ও ঠিক তাই।
গত ১৮ জুন পাক সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইফতিকার মহম্মদ চৌধুরি, বিচারপতি বিচারপতি জাওয়াদ এবং বিচারপতি খিলজি আরিফ হুসেনকে নিয়ে গঠিত বেঞ্চ স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেয়, আদালত অবমাননার মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী পদে থাকতে পারবেন না ইউসুফ রাজা গিলানি। এরপরই পিপিপি নেতৃত্বের তরফে প্রধানমন্ত্রী পদে নির্বাচিত করা হয় পারভেজ আশরফকে। কিন্তু প্রেসিডেন্ট জারদারির বিরুদ্ধে সেই দুর্নীতি মামলাই এবার গলার কাঁটা হতে চলেছে নবনির্বাচিত পাক প্রধানমন্ত্রীর।